বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণ রোধে করা মামলার ৬ মন্ত্রণালয়ের সচিব পক্ষভুক্ত
বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণ রোধে করা মামলার কার্যক্রম যথার্থভাবে করতে পরিবেশ অধিদফতরের জনবল বৃদ্ধি, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অফিস ও গবেষণা, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না জানতে চেয়ে গত ১০ জানুয়ারি, রোববার ২০২১ রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ৬ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এই মামলায় পক্ষভুক্ত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এরা হলেন- মন্ত্রী পরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন, অর্থ ও পরিবেশ সচিব।
বুগিড়ঙ্গার পানি দূষণ বন্ধে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা জনস্বার্থের মামলায় সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান ও পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে আইনজীবী আমাতুল করিম।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের আদেশ/নির্দেশ প্রতিপালন সংক্রান্ত পরিবেশ অধিদফতরের প্রতিবেদন দেখিয়ে বলেছি, আদালতের আদেশ নির্দেশনা সময় মতো পালন করা হচ্ছে না। কারণ পরিবেশ অধিদফতর বলছে তাদের জনবল ঘাটতি আছে।
এদিকে পরিবেশ আইন, জলাধার আইন, ইটভাটা আইন, শব্দ দূষণ আইনে বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য পরিবেশ অধিদফতরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখন অধিদফতরের প্রয়োজনীয় জনবল বৃদ্ধি না করলে বিদ্যমান আইনগুলো অকার্যকর হয়ে যাবে। আর এই কারণে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদন করা হয়েছিল। এ নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। পাশাপাশি ৬ সচিবকে এ মামলায় পক্ষভুক্ত করেছেন।
এফএইচ/এসজে/জিকেএস