বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম ব্রিটিশ শিশুদের খাদ্য সাহায্য দেবে ইউনিসেফ
জাতিসংঘ শিশু তহবিল বা ইউনিসেফ ব্রিটেনের হতদরিদ্র শিশুদের জন্য জরুরিভিত্তিতে খাদ্য সরবরাহের কর্মসূচি হাত নিয়েছে।
কভিড-১৯ করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে ব্রিটেনে যেসব শিশু মারাত্মক ভাবে খাদ্য সংকটে পড়েছে তাদের জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি এবং এটিই ব্রিটিশ শিশুদের জন্য ইউনিসফের পক্ষ থেকে প্রথম এ ধরনের কৃত কর্মসূচি।
কভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের কারণে ব্রিটেনের অর্থ ব্যবস্থা ও আভ্যন্তরীন অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় ব্রিটেনের ৭ লাখ শিশুকে খাদ্য সরবরাহ করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি বরাদ্দকৃত অর্থের একটি বড় অংশ ব্রিটেনের চ্যারিটি স্কুলগুলোকে দেবে যাতে তারা দরিদ্র ব্রিটিশ শিশুদের সকালের নাস্তা সরবরাহ করে।
গত ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ইউগভ পরিচালিত এক জরিপে দেখা গিয়েছিল যে, ব্রিটেনে ১ম লকডাউন দেয়ার পর ত্রিশ লাখ শিশু খাদ্য সংকটে পড়েছে। এছাড়া, চব্বিশ লাখ মানুষ বাড়িতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতারর ঝুকি ও সংকটের মাঝে ছিল।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারীতে ব্রিটেনের দেশটিতে এ পর্যন্ত বেকার হয়েছে ৮ লাখ ১৯ হাজার মানুষ। বেকারত্বের এই চিত্র থেকে বোঝা যায়- করোনাভাইরাসের সংকটে ব্রিটিশ অর্থনীতিকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স থেকে বলা হয়েছে, গত আগস্ট, সেপ্টেম্বর অক্টোবর এই ৩ মাসে ৩ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বেকার হয়েছে। ব্রিটেনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাতের নাম হচ্ছে পর্যটন খাত। অর্থনীতির এই করুণ দশায় নভেম্বর মাসে ব্রিটিশ চ্যান্সেলর সতর্ক করে বলেছেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে দেশে বেকারত্বের সংখ্যা ২৬ লাখে পৌঁছাতে পারে।
এ অবস্থায় ব্রিটিশ সরকার বলছে, করোনাভাইরাসকে পরাজিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকার দেশের জনগণকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তবে করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে ব্রিটেনকে মুক্ত হতে এখনো অনেক সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।#
গত অক্টোবর মাসে একই প্রতিষ্ঠান পরিচালিত আরেক জরিপে দেখা যায়- নয় লাখ শিশু স্কুল থেকে বিনামূল্যে খাদ্য পাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/১৭