বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আসছে নতুন অ্যাপ যার নাম ‘ক্লেয়ার’। আর তাকে বলা হচ্ছে হাইপার লোকাল পলিউশন মনিটরিং। যার ফলে যে কেউ দেখে নিতে পারবেন তিনি যে এলাকায় যাচ্ছেন সেখানকার পরিবেশ তার শারীরিক অবস্থার জন্য কতটা হানিকর বা কি রকম হতে পারে। এ অ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে তাকে জানিয়ে দেবে পরিবেশ তার শারীরিক অবস্থার বার্তা
অ্যাপ প্রস্তুতকারক সংস্থা সূত্রে জানা যায়, মাসখানেকের মধ্যে নতুন এই অ্যাপ চলে আসবে। তা ডাউনলোড করে সেখানে নিজের নাম, ঠিকানা, বয়স, কী কী অসুখ তাঁর রয়েছে সেগুলো একবার এন্ট্রি করতে হবে। সেখানেই অপশন আসবে, আপনি কোথায় আছেন, আর কোথায় যাবেন? সেই নাম লেখার পরই স্ক্রিনে ভেসে উঠবে ওই এলাকার দূষণের মাত্রা। এমনকি আপনার যদি সিওপিডি, লাং, হার্টের অসুখ থাকে, তবে সংস্থাই আপনাকে জানিয়ে দেবে সেখানে যাওয়া উচিত কি না? গেলে কোন সময় যাওয়া উচিত, কোন সময় দূষণের ধূলিকণা সক্রিয়।
অ্যাপ প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্তা সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মাসখানেকের মধ্যেই নতুন এই অ্যাপ চলে আসবে। তা দিয়ে যে কেউ দেখে নিতে পারবেন, কোন এলাকায় দূষণের মাত্রা কতটা! সেটা বুঝে তারা বাড়ি থেকে বেরুতে পারবেন।’
পরিবেশ দপ্তরের কথায়, এই অ্যাপ বয়স্ক লোকদের বেশি কাজে লাগবে। কারণ, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা বেশিরভাগই হার্ট এবং লাংয়ের অসুখে ভুগে থাকেন। দূষণের জেরে বের হওয়া ধূলিকণা তাদের শরীরেই সব থেকে বেশি আক্রমণ করবে। কারণ তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম। ফলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাই এই অ্যাপ ব্যবহার করে তারা অন্তত দূষণের জেরে নিজের শরীরের ক্ষতি হওয়া কিছুটা হলেও আটকাতে পারবেন।
পরিবেশবিদরা দূষণ সম্পর্কে বলেন, রাতভর শহরে বাইরে থেকে ট্রাক ঢোকে।সেখান থেকে বেরোনো ও গাড়ির ধোঁয়াতে দূষণের ধূলিকণা রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত থাকে। তাছাড়া নির্মীয়মাণ বহুতল ভবনের কাজকর্মও এখন সারারাত চলে। সেখান থেকেও পিএম ২.৫ ধূলিকণা ছড়ায় প্রচুর; যা সকাল পর্যন্ত থাকে। তাদের কথায়, পিএম ৫ ধূলিকণা তবু মানুষের নাকে আটকাতে পারে, শরীরে প্রবেশ করে না। কিন্তু পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ এতই ছোটো ধূলিকণা যে, সরাসরি হার্টে চলে যায়। কোনোভাবেই তা আটকানো সম্ভব হয় না। আর এই পুরোনো গাড়ির ধোঁয়াতে এই ধূলিকণার পরিমাণই সবচেয়ে বেশি।