রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারণে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর পানি গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া গেজ স্টেশনে ৩ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১১৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হবার কারণে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। এতে করে জেলার চারটি উপজেলার ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
আজ সোমাবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় ও উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার চারটি ইউনিয়নের প্রায় ৫৫ হাজার, সদর উপজেলার প্রায় পাঁচ হাজার, কালুখালী উপজেলায় দশ হাজার, পাংশা উপজেলায় এক হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
পানি বৃদ্ধির কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের দুইটি সংযোগ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে করে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া গোয়ালন্দ থেকে রাজবাড়ী রেলপথের বিভিন্ন জায়গায় পানি প্রবেশ করায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পানিবন্দি মানুষ রাস্তার দুইপাশে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। এসব মানুষের বিশুদ্ধ পানি সংকট ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক পরিপার ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছে।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিসলাস বেগম জানান, বন্যায় কবলিত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৭০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ২ লাখ ৪০ টাকা বিতরণের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে সব দুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে।