বায়ুদূষণ বর্তমান সময়ের বিশেষ আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে মানুষের। বায়ুদূষণে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে নানান ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি। বায়ুদূষণে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের সমস্যা হয় বেশি। বায়ুদূষণে অনেক দিন ধরেই কখনো ঢাকা শীর্ষ স্থানে কখনো আবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকতে দেখা গেছে। বিভিন্ন দূষণ ঠেকাতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। কিন্তু বিশেষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণও করা হয়নি।যদিও গতকাল একটি কমিটির মাধ্যমে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ঢাকাসহ ঢাকার চারপাশের বায়ুদূষণ রোধ করার জন্য। সেখানে ২০০৮ নীতমালা কঠোরভাবে প্রয়োগসহ ১২টি বিষয় নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি।
গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর শীত একটু বেশিই প্রভাব বিস্তার করেছে। পর্যায়ক্রমে কয়েকবার তৃব্র ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। কেঁপেছে ঢাকা সহ সমগ্র বাংলাদেশ। শীতে আর্দ্রতা কত থাকায় বায়ুদূষণজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রকটভাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন খারাপ মানের বাতাসের প্রভাবে নানান স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যঝুঁকির বিশেষ তালিকায় ছিলো শিশু ও বৃদ্ধ ব্যক্তিরা।
বায়ুমান খারাপ হওয়ার ফলে দূষিত বায়ু শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন রোগের। বিশেষ করে হাঁপানি, অ্যালার্জি, নিউমোনিয়া, প্রদাহ, শ্বাসতন্ত্রের হূদেরাগ ইত্যাদি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বায়ুমান খারাপ হলে দেশে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও জরুরী অবস্থা ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু ঢাকায় এরকম কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। যদিও এখন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। বায়ুদষণ রোধে সে সকল পদক্ষেপ কতটুকু ভুমিকা রাখবে সে বিষয়ে এখনো পর্যন্ত বলা সম্ভব নয়।
বয়ুদূষণ রোধে সরকারের পাশাপশি সাধারণ মানুষের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ। শুধুমাত্র সরকারের একার পক্ষে সকল বিষয় সমাধান করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ইটভাটা ও মিল-কলকারখানা যা থেকে বায়ুদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে অনেক পরিমাণ। বর্তমানে যদিও সেই সকল অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধের জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার কিন্তু এখানে যদি নিজ দায়িত্বে বায়ুদূষণ রোধে কাজ করা হতো তাহলে হয়তো এখন এতো পরিমাণে বায়ুদূষণ হতো না।