পাখির জন্য ভালোবাসা থেকেই মানুষ কতকিছুইনা করে থাকেন। তেমনই একজন ব্যক্তি মনোহার আলী। মোনাহার আলীর বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার হাল্লা গ্রামে। আর সেই নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছিলেন পাখির অভয়াশ্রমটি।
মনোহার আলী পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। তিনি গত হয়েছে ২০০৯ সালে। স্কুল শিক্ষক মনোহার আলী শিক্ষকতা করতেন উপজেলা সদরে অবস্থিত পাথারিয়া-ছোটলেখা উচ্চবিদ্যালয়ে । মনোহার আলীর ৬ ছেলের মধ্যে ৪র্থ জনই থাকেন বাড়িতে। তিনি জানান তার বাবা মনোহার আলী পাখিদের খুবই ভালোবাসাতেন। পাখিদের খাবার ছিটিয়ে দিনে। গাছের ডালপালা কাটতে দিতেন না আর কাটতে বারনও করতেন।
মনোহার আলীর ছেলে শাহরিয়ার জানান, অনেক পাখি শিকারিরা মাঝে মধ্যে হানা দেয় কখনো পাখি ধরে নিয়ে যায় আবার কখনো ধরা পড়ে তারা।
প্রকৃতপক্ষে মনোহার আলীর বাড়িটি হাকালুকি হাওরপাড়ে। আর সেখানেই গড়ে উঠেছে পাখিদের এই অভয়াশ্রমটি। হাওরের পাশ দিয়ে হিজল, করচ ও বরুণগাছে ভরা সেই বাড়ি। এলাকায় এটি পাখিবাড়ি নামেই বেশি পরিচিত। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে ঝাঁকে ঝাঁকে নানান প্রজাতির পাখি সেখানে আশ্রয় নেয়। আবার সকাল হলেই খাবারের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে পাথিরা। আর এই দৃশ্য নিত্যদিনের । মনোহার আলীর অবর্তমানে তার এই বাড়ি দেখাশোনা করেন তার ৬ ছেলের মধ্যে ৪র্থ ছেলে শাহরিয়ার। আর তিন ছেলে প্রাবাসী অন্য দুই ছেলের মধ্যে একজন সিলেট নগরে ব্যবসা এবং অন্যজন ঢাকায় লেখাপড়া করছেন।