অপরিকল্পিত নগরায়ন, পরিবেশ দূষণ ও শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়ার কারণে বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ রোগী ফুসফুসের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। শুধুমাত্র অ্যাজমায় ভুগছেন প্রায় ৭০ লাখ মানুষ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রথমে আক্রান্ত হয় ফুসফুস ও শ্বাসনালী। অব্যাহত বায়ু দূষণে অ্যাজমা, অ্যালার্জি, শ্বাসনালী ও ফুসফুসে নিউমোনিয়া সংক্রমণ, সিওপিডি ও ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন কার্ডিওভাসকুলার রোগও বেড়েই চলছে। অন্যদিকে যক্ষ্মা এখনও আমাদের বৃহত্তম স্বাস্থ্য সমস্যা। প্ৰতি বছর প্রায় তিন লাখ মানুষ নতুনভাবে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয় এবং ৭০ হাজার লোক মারা যায়।
জানা যায়, দেশের মেডিকেল কলেজগুলোর বক্ষব্যাধির উন্নত চিকিৎসার সুযোগ সম্প্রসারিত করার জন্য রেসপিরেটরি মেডিসিন ও কার্ডিওথোসিক সার্জারির কিছু ইউনিট চালু হয়েছে। ১৩টি মেডিকেল কলেজে রেসপিরেটরি মেডিসিনের ও ২টি মেডিকেল কলেজে থোরাসিক সার্জারির পদ সৃষ্টি হয়েছে।রাজধানীতে এ বিষয়ক সরকারি মাত্র দুইটি হাসপাতাল। মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও শ্যামলীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল। যেখানে সব মিলিয়ে ৬০০টি শয্যা রয়েছে। রোগীদের সংখ্যা অনুসারে এই সেবার ব্যবস্থা খুবই নাজুক বলা চলে।
তাছাড়া ঢাকা ও কয়েকটি বিভাগীয় শহর ছাড়া সব জায়গায় এমবিবিএস ডাক্তাররা চিকিৎসা দিচ্ছেন। যেখানে এ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খুবই প্রয়োজন। এই পদ সৃষ্টি করা ছাড়াও দেশের প্রতিটি মেডিকেল কলজে রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ খোলা খুবই জরুরি।
অপরিকল্পিত নগরায়ন, পরিবেশ দূষণ ও শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়ার কারণে আমাদের দেশে বক্ষব্যাধি ও হৃদরোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত ফুসফুস রোগের জন্য এই পরিবেশ দূষণই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।