বন্যার পানিতে ডুবে গেছে ইতালির ভেনিস শহরের অধিকাংশ স্থান। শহরটির মেয়রের অভিযোগ, জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাব এটি।এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।বন্যায় পর্যটন অঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে নিচু এলাকা সেন্ট মার্কস স্কয়ার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।বিবিসি।
মেয়র লুইজি ব্রাগনারো টুইটারে লিখেছেন, দ৫০ বছরের মধ্যে পানির উচ্চতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। এটি একটি স্থায়ী চিহ্ন রেখে যাবে। এখনই সরকারের আমাদের কথা শোনা উচিত। এগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, যার মূল্য অনেক চড়া হবে।’
জোয়ার পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ভেনিসে এবার পানি সর্বোচ্চ ৬ ফুট (১ দশমিক ৮৭ মিটার) উচ্চতায় উঠেছিল। ১৯২৩ সাল থেকে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর ১৯৬৬ সালে শহরটিতে জোয়ারের পানির উচ্চতা হয়েছিল এক দশমিক ৯৪ মিটার।
ছবিতে দেখা গেছে, ভেনিসের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। লক্ষ্য করা গেছে। ঝড়ের কবলে পড়া লোকজনকে বিভিন্ন রাস্তায় আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।শহর নিম্মাঞ্চল সেন্ট মার্কসের চৌরাস্তার পরিস্থিতি সবচেয়ে বাজে। গত ১,২০০ বছরের মধ্যে এখানকার ব্যাসিলিকা ছয় বার বন্যার পানিতে ডুবেছে বলে গির্জার রেকর্ডে দেখা গেছে।
বন্যায় পেলাস্ট্রাইন দ্বীপে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নিজের বাড়ির পাম্প চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন।আরেকজনের লাশ পাওয়া গেছে।
বন্যায় অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। অনেক ক্যাফে ও রেস্টুরেন্টের বাইরের চেয়ার টেবিল পানিতে ভেসে যেতে দেখা গেছে। অনেক দোকানদারই তাঁদের মজুত সরিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। গতকাল বুধবার সকালে বেশ কয়েকটি নৌকাকে আটকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
মেয়র লুইজি ব্রাগনারো জানিয়েছেন, দপরিস্থিতি নাটকীয় পর্যায়ে মোড় নিচ্ছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।পানি কমে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সব স্কুল বন্ধ থাকবে। আমরা সরকাররের নিকট সাহায্য চেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন,‘ তিনি এই অবস্থাকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করতে পারেন।’
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর ফলে সরকারি অনুদান পেতে সুবিধা হবে।’
