গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন বৃষ্টিপাত ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত এবং শিলাবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতিও হয়েছে। কিছু কিছু এলাকার জমির ধান শিলা বৃষ্টির কারণে ঝড়ে গেছে।
একয়েকদিন দেশে যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে তা মূলত দেশের ভেতরের জলীয় বাষ্প মেঘ হয়ে আকাশে গিয়ে বৃষ্টি হয়ে ঝরেছে। কিন্তু এবার বঙ্গোপসাগর থেকে মেঘমালা ধেয়ে আসছে দেশের উপকূলের দিকে।
জানা যাচ্ছে মেঘমালার উৎপত্তি অবশ্য বঙ্গোপসাগরের অদূরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে। আর সেখানেই তৈরি হয়েছে একটি লঘুচাপের। আজকের মধ্যে তা নিম্নচাপে রূপনিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস বলেছে, আগামী ২ দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি চলে আসতে পারে।
এই লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী বর্ষণনের সম্ভাবনা রয়েছে। একই সাথে দেশের অন্যান্য স্থানে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার কথাও বলছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
সুতরাং বর্তমানে দেশে যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে সার স্থায়িত্ব আরো ৪ থেকে ৫ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা।
অন্যদিকে বৈশ্বিক আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা আকু ওয়েদার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তারা মূলত বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া নিম্নচাপটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
তারা বলছে চলতি বছরের প্রথম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে যাচ্ছে একটি ঘূর্ণিঝড়। সেখানে বলা হয়, আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে ৫ মের মধ্যে এটির প্রভাব থাকবে। ধারণা করা হচ্ছে ২ মের মধ্যে রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। যদি সেই ঘূর্ণিঝড়টি হয় তাহলে তার আগাম না ঠিক করাই আছে। তার নাম হবে ‘আম্ফান’।
কিন্তৃ মৌসুমি বায়ু আসার পূর্বে এ সময়ে কোনো নিম্নচাপ খুব বেশি শক্তি সঞ্চয় করতে পারে না। তবে এর সাথে তৈরি হয় প্রচুর মেঘ। সুতরাং এর প্রভাবে বাতাসের চেয়েও বেশি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা মনে করছেন যে, আপাতত নিম্নচাপটির মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু এটির বেশি সম্ভাবনা রয়েছে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার।