সম্প্রতি গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন যারা সাধারণত সবুজ গাছপালার মধ্যে ব্যায়াম করেন তাদের মানসিক অবস্থা অন্যদের চেয়ে ভালো থাকে।তারা অন্যদের চেয়ে নিজেদের বেশি সবল মনে করেন। গবেষকদের মতে, প্রকৃতির শান্ত সবুজ পরিবেশ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে
তাছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করলে নানা রকম রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা যায়, ওজন কমানো যায়, ভালো ঘুম হয় আর মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি পায়।শরীরচর্চা করলে মস্তিষ্ক থেকে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়। এসব রাসায়নিক উপাদান চিত্ত প্রফুল্ল করে এবং শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি চেহারায় লাবণ্য ও ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে বিষণ্নতা কিংবা হতাশার মতো রোগ থেকেও নিজেকে রক্ষা করা যায়। এছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করলে হূদেরাগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অস্থিক্ষয় এবং ক্যানসারের মতো অনেক ক্রনিক রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
সম্প্রতি মেন্টাল হেলথ এন্ড প্রিভেনশন জার্নালে ‘জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব রোয়েহ্যাম্পটন’ এর এক গবেষণায় এই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে যে, ঘরের মধ্যে ব্যায়াম করে ঘাম ঝরানোর চেয়ে উন্মুক্ত পরিবেশে শরীর চর্চা করলে বেশি উপকার হয়।
গবেষণা দলের প্রধান ড. সান্দ্রা ক্লাপারস্কির নেতৃত্বে ১৪০ জনের ওপর গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ব্যায়াম করার আগের ও পরের মানসিক অবস্থা, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এদের মধ্যে যারা ঘরের মধ্যে ব্যায়াম করেন তাদের চেয়ে যারা সাধারণত খোলা জায়গায় ব্যায়াম করেন তাদের মানসিক অবস্থা বেশি ভালো থাকে।
চিকিৎসকদের মতে, বাড়তি ওজনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক পরিশ্রম করলে ক্যালরি খরচ হয়। শারীরিক পরিশ্রম যত বেশি করা হবে ক্যালরি খরচ তত বাড়বে এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ব্যায়াম এবং শরীরচর্চার ফলে শরীরের প্রতিটি কোষে অতিরিক্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ হয়। যা কি না শরীরকে সুস্থ রাখার মাধ্যমে কর্মস্পৃহা বাড়ায়।