24 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ৩:১৮ | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছে বান্দরবানের রুপালি ঝরনা
প্রাকৃতিক পরিবেশ

প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছে বান্দরবানের রুপালি ঝরনা

পাহাড়ের পাথর বেয়ে নামছে অপরুপ ঝরনা। সবুজ গাছগাছালি ঘেরা এই পাহাড়, ঝোপ-ঝাড় ও নেই কম। দূর থেকে দেখলে মনে হবে সবুজের বুক চিরে গড়িয়ে যাচ্ছে একটি সরু রুপালি কিছু। মনে হয় এ কারণেই ঝরনাটির নামও দেওয়া হয়েছে রুপালি ঝরনা। বান্দরবানের রেইছার সিনিয়রপাড়ার এই ঝরনা প্রতিনিয়ত প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছে দ্রত। রুপালি ঝরনার অপূর্ব শোভা দেখতে ছুটে আসছেন শত শত নারী-পুরুষ ও ‍শিশু-কিশোরেরা।

চট্টগ্রাম-কেরানীহাট-বান্দরবান সড়ক ধরে গেলে বান্দরবান জেলা শহরের ছয় কিলোমিটার আগে পড়বে রেইছা বাজার। বাজারের পাশে সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা চেকপোস্ট–সংলগ্ন ইট বিছানো রাস্তা ধরে কিছুক্ষণ হাঁটলেই চোখে পড়বে রুপালি ঝরনা। সড়ক থেকে এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত এই ঝরনার খবর দুই-তিন বছর আগেও বাইরের মানুষের কাছে অজানা ছিল। সিনিয়রপাড়ার বাসিন্দারাই পর্যটকদের এই ঝরনার খবর দেন। এরপর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশ থেকেই পর্যটকেরা এসে দেখে গেছেন রুপালি ঝরনা। এটি এখন জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট হয়ে উঠেছে।

সবুজ পাহাড়ের গা বেয়ে নামছে রুপালি ঝরনা। গতকাল দুপুরে বান্দরবানের রেইসার সিনিয়রপাড়ায়। প্রথম আলো
সবুজ পাহাড়ের গা বেয়ে নামছে রুপালি ঝরনা। গতকাল দুপুরে বান্দরবানের রেইসার সিনিয়রপাড়ায়। প্রথম আলো
খাঁড়া পাহাড়ের পাথর বেয়ে নামছে ঝরনা। চারদিকে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে সবুজ গাছগাছালি, ঝোপ-ঝাড় আর অরণ্য। দূর থেকে দেখলে মনে হবে সবুজের বুক চিরে গড়িয়ে যাচ্ছে একটি সরু রুপালি ফিতা। এ কারণেই বুঝি ঝরনাটির নামও হয়েছে রুপালি ঝরনা। বান্দরবানের রেইছার সিনিয়রপাড়ার এই ঝরনা দিন দিনই প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছে। রুপালি ঝরনার অপূর্ব শোভা দেখতে ছুটে আসছেন শত শত নারী-পুরুষ।

চট্টগ্রাম-কেরানীহাট-বান্দরবান সড়ক ধরে গেলে বান্দরবান জেলা শহরের ছয় কিলোমিটার আগে পড়বে রেইছা বাজার। বাজারের পাশে সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা চেকপোস্ট–সংলগ্ন ইট বিছানো রাস্তা ধরে কিছুক্ষণ হাঁটলেই চোখে পড়বে রুপালি ঝরনা। সড়ক থেকে এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত এই ঝরনার খবর দুই-তিন বছর আগেও বাইরের মানুষের কাছে অজানা ছিল। সিনিয়রপাড়ার বাসিন্দারাই পর্যটকদের এই ঝরনার খবর দেন। এরপর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশ থেকেই পর্যটকেরা এসে দেখে গেছেন রুপালি ঝরনা। এটি এখন জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট হয়ে উঠেছে।

প্রতিদিন বিকালে রুপালি ঝরনা এলাকায় দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সের পর্যটক। যারা এসেছেন ঝরনা দেখতে। কেউ পানিতে নেমে গোসল করছেন। আর কেউবা তেুলছেন সেলফি ।

ঝরনার পাশে একটি চায়ের দোকান মালিক স্থানীয় বাসিন্দা জাফর আলম। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগেও এই ঝরনার খবর বাইরের  কোন মানুষ জানত না। আর সেখানে এখন প্রতিদিন শত শত পর্যটকের ভিড়ে ভরে উঠেছে এলাকাটি। ঝরনা এলাকা জমজমাট হয়ে ওঠায় তাঁর বিক্রিও  বেড়ে গেছে বহুগুণ। লাভবান হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে

ফরিদপুর থেকে আসা মো. আলমগীর জানিয়েছেন তাঁরা ২৫ জনের একটি দল রাঙামাটি হয়ে বান্দরবানে রুপালি ঝরনা দেখতে এসেছেন। সড়কের ধারে এবং শহরের কাছাকাছি এত সুন্দর ঝরনা দেখে খুব ভালো লাগছে।

এর আগেও একবার তিনি রুপালি ঝরনা দেখতে এসেছিলেন। তখন এ জায়গায় আরও গাছগাছালি ছিল। এবার এসে দেখতে পেলেন, ঝরনার আশপাশে বনাঞ্চল কেটে উজাড় করা হয়েছে। এতে ঝরনাটি সৌন্দর্য হারিয়েছে বলে তিনি আক্ষেপ করেন।

তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত সিনিয়রপাড়ার বাসিন্দারা বলেছেন, আগে রুপালি ঝরনায় সারা বছর পানির প্রবাহ থাকত। বনাঞ্চল উজাড় হওয়ায় বর্ষা শেষে ঝরনার প্রাণচাঞ্চল্য কমে যেতে থাকে। মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত পানির প্রবাহ কমে গেলে ঝরনার আকর্ষণও থাকে না।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত