বৈশ্বিক জলবায়ু আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্যারিসে চলমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশবাদী সমাবেশে কিছু বিশৃঙ্খলাবাদী গ্রুপ অনুপ্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর করায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে।যার কারনে সমাবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, শনিবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশবাদী সমাবেশে কিছু বিশৃঙ্খলাবাদী দলের বিক্ষোভকারীরাও ঢুকে পড়ে। তারা অন্যদের সঙ্গে মিছিল করতে করতে হঠাৎ করেই রাস্তার পাশের দোকানপাট, ভবন ও গাড়ির জানালা ভাঙচুর করতে শুরু করে এবং রাস্তার ব্যারিকেডে আগুন লাগিয়ে দিতে থাকে।
এ ঘটনায় সমাবেশ এলাকা ও আশপাশে কঠোর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ফরাসি পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ শুরু করে। ওই সময় প্যারিসে বিশাল নিরাপত্তা অপারেশনের অংশ হিসেবে ৭ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য রাস্তায় মোতায়েন ছিলেন।পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোড়া শুরু করলে বিশৃঙ্খলাবাদী বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালাতে থাকে। দু’পক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে ওই সময় শিশু-কিশোরদের নিয়ে সমাবেশে অংশ নেয়া পরিবারগুলো র্যালি ত্যাগ করে সরে যায়।
ফরাসি পুলিশের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অতিরিক্ত সহিংসতা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। শনিবারের হামলা-পাল্টা হামলার পর সেখান থেকে শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে।
ম্যানহাটনে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনকে সামনে রেখে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আরও কঠোর পদক্ষেপের দাবিতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের পেনশন নীতি সংস্কারের প্রতিবাদে জলবায়ু সমাবেশ প্রত্যেক দেশের সরকারের কাছ থেকে অনুমোদিত ছিল। প্যারিস সরকারও শান্তিপূর্ণ এই সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল।
অন্যদিকে সরকারবিরোধী ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনসহ অন্যান্য আন্দোলন কর্মসূচিগুলো ছিল অবৈধ, সরকারের অনুমতিবিহীন। সেসব আন্দোলনের বহু আন্দোলনকারী উৎসবমুখর জলবায়ু সম্মেলনে ঢুকে যাওয়ার পরই সহিংসতা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘাত এবং ভাঙচুরের অধিকাংশ ঘটনার জন্যই পুলিশ দায়ী করেছে কালো স্কার্ফ, কালো সানগ্লাস এবং কালো হুডি বা মুখোশ পরা নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী একদল আন্দোলনকারীকে। পুলিশের অভিযোগ, ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনকারীরাই তাদের হলুদ ও সবুজ পোশাকের বদলে কালো পোশাক পরে সমাবেশে যোগ দিয়েছিল।