পানির অপর নাম জীবন আর এক নাম মৃত্যু
পানির অপর নাম জীবন আর পানিই যখন জীবন চলে যাওয়ার জন্য কারণ হয়ে দাড়ায় তখন কি বলবেন। হ্যা আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে পানি দূষণ করে চলেছি। প্রয়োজনের তুলনায় আমরা অনেক বেশি পানি খরচ করি আবার বিনা কারণে পানির অপব্যবহারও করে থাকি। বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ আর নদীন উপর নির্ভর করে এদেশের অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কিন্তু আমরা এই নদীর পানি দূষণ করেই চলেছি। শহরে ঘরে ঘরে পানি ফুটিয়ে খাওয়া একা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু অনেক মানুষ আছে যারা পানি না ফুটিয়েই পান করে থাকে ফলে একসময় রোগে আক্রান্ত হয়। আমরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে পানি দূষণ সম্পর্কে জেনেছি কিন্তু পানি দূষণ ঠেকাতে চেষ্টা করেছি কত জনে। তাই আরো একবার পানি দূষণ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে বিশদ ধারণা নিবো।
পানি দূষণ হল জলাশয়ের দূষণ (উদ্যান, নদী, মহাসাগর, পানিজ এবং ভূগর্ভস্থ পানি)। পরিবেশগত অবনতি এই ফর্ম যখন দূষণকারী সরাসরি বা পরোক্ষভাবে ক্ষতিকারক যৌগ পানিতে বা পানিে অপসারণ হয় তখন তা পানি বা পানিে মিশ্রণের ফলে মানব ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে উঠে, আর এটাকেই বলে পানি দূষণ বা পানিদূষণ।
পরিবেশের কোনো অবাঞ্ছিত পদার্থ পানিের সঙ্গে মিশে পানিের ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক বৈশিষ্ট্যপরিবর্তন ঘটে এবং তার থেকে উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে পানির সেই আশঙ্কাকে পানি দূষণ বলে।
1. শিল্প ও কারখানা –
পেট্রো রাসায়নিক শিল্পে, পলিথিন ও প্লাস্টিক শিল্পে, জ্বালানি শিল্পে, খনিজ তেল পরিশোধন শিল্পে, বিভিন্নরকম যানবাহন নির্মাণ, ছোট ও মাঝারি ইলেকট্রিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে প্রচুর পরিমাণে দূষিতরসায়ন পদার্থ যেমন অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, সায়ানাইড এবং বিভিন্ন ধাতু জিংক, পারদ, সিসা ইত্যাদিপানিে মিশে পানিকে দূষিত করে।
2. গৃহস্থলীর আবর্জনা-
গ্রাম এবং শহর এলাকার বিভিন্ন আবর্জনা বর্জ্য পদার্থ যেমন দৈনন্দিন রান্না বস্তু, গৃহস্থলীর কাজেব্যবহৃত পানি এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ প্রভৃতি থেকে নির্গত পানি, খাদ্যদ্রব্যের ফেলে দেওয়া অংশ ,শাকসবজির পচা অংশ -ব্যাকটেরিয়া প্রভৃতি জীবাণু মিশ্রিত হয়ে নর্দমা পয়ঃ প্রণালী দিয়ে নদনদী, হ্রদ,খাল ওসমুদ্রের পানি পড়ে পানি দূষণ ঘটায়। বিভিন্ন পানিাশয়ে পানি মানুষের যথেচ্ছ ব্যবহার, মলমূ%A