বাংলাদেশের পাটশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে আমেরিকা ভিত্তিক কোম্পানি ‘অ্যাপ্লাইড বায়োপ্লাস্টিক’ ও বাংলাদেশের ‘অশেষ’-এর মধ্যে একটি অংশীদারিত্বমূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার লন্ডনের গিল্ড হলে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
এই চুক্তিতে উভয়পক্ষই পাটচাষিদের পণ্যের সঠিক দাম ও তাদের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যান্য চাষিদেরকেও পাট চাষে উৎসাহিত করতে ‘অশেষ’ যথাযথভাবে পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।
প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে পাটশিল্পকে টেকসই শিল্পের মর্যাদাদানে ‘অশেষ’ বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে জাতিসংঘ প্রণীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনের লক্ষ্যে অ্যাপ্লাইড বায়োপ্লাস্টিক ‘অশেষ’কে সর্বোচ্চ প্রযুক্তিগত সহায়তা করে যাবে বলে জানিয়েছে।
অ্যাপ্লাইড বায়োপ্লাস্টিক বৈজ্ঞানিকভাবে পাটের আঁশ ব্যবহার করে পেট্রোলিয়াম প্লাস্টিক শিল্পের বিকল্প হিসেবে জৈব-নির্ভর প্লাস্টিক বাজারে আনতে যাচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে বর্তমান বিশ্বকে বাঁচাতে এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে আমেরিকান ওই কোম্পানি। এছাড়া ‘অশেষ’ তার লক্ষ্য অর্জন করতে বাংলাদেশ সরকার প্রণীত পাটনীতি অনুসরণ করবে এবং পাট শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি এনজিও ও বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এই কাজের জন্য ‘অশেষ’ সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।
‘অশেষ’ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর নোমান রবিন বলেন, আমাদের পরিকল্পনার যদি ৫০ ভাগও বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে শুধু পাটচাষিই নয় পাটকলগুলোও আবার জাগ্রত হবে। সারা বাংলাদেশের তরুণ সমাজের একটি বিশাল অংশ নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। তরুণেরা বিনা পুঁজিতে শুধুমাত্র প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের উন্নয়ন সাধন করতে পারবে। চুক্তিতে অ্যাপ্লাইড বায়োপ্লাস্টিকের পক্ষে এলেক্স ব্লাম স্বাক্ষর করেন।
আগামীতে অংশীদারিত্বের ব্যাপারে বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে। অন্যান্য তথ্য এবং প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের ব্যাপারে জানতে ভিজিট করুন- অ্যাপ্লাইড বায়োপ্লাস্টিক এবং অশেষ-এ।