পরিবেশ দূষণ কমাবে পাটের বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ
পরিবেশ দূষণকারী পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটের তৈরি ব্যাগ উদ্ভাবনে সরকারের প্রচেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে এখনো পাট থেকে বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। উদ্ভাবকরা, ২০২২ সালের জুনের মধ্যেই এটা বাজারজাতকরণ করতে পুরোপুরি সক্ষম হবে। এ লক্ষ্যে সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবককে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিচ্ছে।
মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ট্রাস্টি বোর্ডের ৫৪তম সভায় এ কথা বলেন। ভার্চুয়ালি আয়োজিত এ সভায় মো. শাহাব উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন।
পাটের বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ কমবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, দূষণকারী পলিথিনের বিকল্প হিসাবে পাটের বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিনের ব্যবহারের প্রচলন শুরু করতে পারলে, দেশের পরিবেশ সংরক্ষণে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকার সক্রিয় বলে উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৬২ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৮৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে গৃহীত এসব প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
সভায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পের ধরন পরিবর্তনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান, বিশিষ্ট পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাতসহ বোর্ডের অন্য সদস্যরা ।