নাটোরের সিংড়ায় নিশাচর লক্ষ্মীপেঁচার পাঁচটি ছানা উদ্ধার
নাটোর: সিংড়ায় পৌর শহরের মাদারীপুর এলাকার ১টি বাড়ি থেকে নিশাচর লক্ষ্মীপেঁচার পাঁচটি ছানা গত ৩ জানুয়ারি ২০২১ রোববার বিকেলে পরিবেশবাদী সংগঠন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সদস্যরা ঝটিকা অভিজান চালিয়ে উদ্ধার করেন ।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বিকেলে এই ৫টি ছানাকে উদ্ধার করে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। পৌর শহরের মাদারীপুর এলাকায় উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ বিষয়ক কর্মীদের পক্ষ থেকে বন্যপ্রাণী ও পাখি শিকার রোধে সচেতনতামূলক পথসভা এবং লিফলেটও বিতরণ করা হয়।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে এই পাঁচটি পেঁচা ছানাকে পরিবেশ কর্মী হাসান ইমামের তত্ত্বাবধানে সেবাযত্ন করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই ছানাগুলো রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগীয় কাযালয়ে হস্তান্তর করা হবে।
অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন (ভূমি) সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রকিবুল হাসান, চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো: আখতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের (বিবিসিএফ) সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, পরিবেশ বিষয়ক কর্মী হাসান ইমাম সহ অন্যানোগণ।
শান্তশিষ্ট নিরীহ পাখি নিশাচর লক্ষ্মীপেঁচা। একই সঙ্গে সে লক্ষ্মী পাখিও বটে। পেঁচাদের মধ্যে এরা সবচেয়ে মিষ্টি দেখতে। লক্ষ্মীপেঁচা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় খুবই উপকারী পাখি। ইঁদুর খেয়ে কৃষকের উপকার করে। কাঠবিড়ালি, সাপ, ব্যাঙ, পাখি, পাখির ডিম ও বাচ্চা এবং কাঁকড়াও খেয়ে থাকে তারা।
বিষধর সাপও ধরে এই লক্ষ্মীপেঁচা। তবে সবচেয়ে পছন্দের খাবার সব জাতের ইঁদুর। এদের মধ্যে পুরুষ পাখির চেয়ে মেয়ে পাখি তুলনামূলক দেখতে সুন্দর ও বড় হয়। কি কি ক্রিচ ক্রিচ- এ ধরনের ধাতব শব্দে ডাকে লক্ষ্মীপেঁচা।
অন্যসব পেঁচারা ভয়ঙ্ককর দেখতে হলেও লক্ষ্মীপেঁচা কিন্তু এমনটি নয় বরং তাদের চেহারায় একটা মায়া মায়া ও হাসিখুশি ভাব আছে।
তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম