ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলার ভারত সীমান্ত সংলগ্ন নাগর নদীতে কুমিরের দেখা মিলেছে। কুমিরগুলো লম্বায় ৬-৭ ফুট। কোনোটা আবার আকারে ছোট। তবে কুমির দেখার পর জেলেরা প্রাণের ভয়ে মাছ ধরতে নদীতে নামছেন না। আতঙ্কে আছেন গ্রামবাসীরাও।
স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার বিকেলে ওই নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে একটি কুমির দেখতে পায় জেলেরা। কুমির দেখে তারা চিৎকার করলে এলাকার শত শত মানুষ সেখানে ছুটে আসে। তবে অনেক মানুষের সমাগম দেখে মুহূর্তের মধ্যে কুমিরটি পানিতে ডুব দিলে আর দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড’র (বিজিবি) ডাবরী বিওপির কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান বলেন, ৫-৬টি কুমিরের দেখা মিলেছে। তারা স্থানীয় জেলেদের নদীতে নামতে সতর্ক করেছেন।
এ ব্যাপারে গেদুরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ জানান, এ বছর বন্যায় এলাকা প্লাবিত হয়। বন্যার পানিতে কুমিরগুলো ভারত থেকে এই নদীতে ঢুকে পড়ে। এখন নদীর পানি কমে যাওয়ায় কুমিরগুলো নিরাপদ আশ্রয় ও খাবারের জন্য ছোটাছুটি করছে।
বরুয়াল গ্রামের আব্দুল জব্বার বলেন, এলাকার ৫০টি পরিবার নদীতে মাছ ধরে সংসার চালায়। কুমির দেখে এখন তারা নদীতে নামতে সাহস পাচ্ছে না। এ ছাড়া কৃষকরা নদীর ওপারে গিয়ে ক্ষেত-খামারের পরিচর্যা করতে এবং গবাদিপশুকে ঘাস খাওয়াতে ভয় পাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন বিভাগের কর্মকর্তা হরিপদ দেবনাথ বলেন, ৩ দিন আগে কুমিরের দেখা মিললেও এখন নেই।জেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা আফতাব হোসেন বলেন, সরেজমিন দেখে জেলেদের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।