অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ভয়াল তাণ্ডব চালিয়ে প্রস্থান করলেও এবার নতুন করে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘পবন’।তবে যথেষ্ট শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় কবে নাগাদ বঙ্গোপসাগরে এসে পৌঁছবে তা আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করে জানাতে পারছেন না।
নাসা এবং এসিসিইউ ওয়েদার এর তথ্যমতে, বর্তমানে দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণিঝড়। যার স্থানীয় নাম ‘নাকরি’। যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ধীরে ধীরে এটি ভিয়েতনাম উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বুলবুল ঘূর্ণিঝড়টি ভিয়েতনাম হয়ে মিয়ানমার পেরিয়ে বঙ্গোপসাগরে চলে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।আর সেখান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশায় তাণ্ডব চালাতে পারে বলেও আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরের ‘নাকরি’ পৌঁছালে এর নামও হবে ‘পবন’।
ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম আবহাওয়াবিদদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছে, ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের তালিকায় পরবর্তী সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে ‘পবন’। এ নামটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া। তার পরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘আমফান’। এটি থাইল্যান্ডের দেওয়া নাম। তবে ‘নাকরি’ বা ‘পবন’ কবে নাগাদ বঙ্গোপসাগরে এসে পৌঁছবে তা আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করে জানাতে পারছেন না।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে বিদায় নেওয়ার পর সাগর কিছুটা শান্ত। এখন দেখতে হবে সাগরের শান্ত ভাব কত দিন থাকে। কারণ সূর্য এখনো খাঁড়াভাবে বঙ্গোপসাগরে কিরণ দিচ্ছে। এই কিরণ থেকে সৃষ্টি হয় লঘুচাপ, তারপর নিম্নচাপ এবং অবশেষে ঘূর্ণিঝড়। আর ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশ থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টির প্রবণতা থেকে যায়।