বিরল প্রজাতির ২ ‘ধুম কাছিম’ মৌলভীবাজারের বাইক্কা বিলে অবমুক্ত
মৌলভীবাজার: বিরল প্রজাতির ২টি ‘ধুম কাছিম’ মৌলভীবাজারের মৎস্যসম্পদের অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলে অবমুক্ত করা হয়েছে। এ দুটোর ওজন অনুমানিক ১৭ কেজি।
৪ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার বিকেলে মৌলভীবাজারের বাইক্কা বিলের সংরক্ষিত জলাভূমিতে এই ২টি কাছিম বা কচ্ছপকে মুক্ত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাবিরি (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং বন্যপ্রাণী গবেষক ড. কামরুল হাসান, মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন সহ বনবিভাগের অন্যান্য সব কর্মকর্তারা।
এদিকে এই ২টি কাছিমকে ৩ জানুয়ারি’২১ রোববার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা শ্রীমঙ্গল শহরের মাছ বাজার থেকে এগুলোকে উদ্ধার করেন। বন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে এই কাছিম বিক্রয়কারী ব্যক্তি পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা গত রোববার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের শহরের মাছ বাজারে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ২টি বিরল প্রজাতির ধুম কাছিম উদ্ধার করেছি। বন্যপ্রাণী নিরাপত্তা এবং সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমাদের এমন ঝটিকা অভিযান সর্বদা অব্যাহত থাকবে।
বন্যপ্রাণী গবেষক ড. কামরুল হাসান বলেন,এ ২টির নাম ‘ধুম কাছিম’। এরা বাংলাদেশে বিরল প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী। ইংরেজিতে এর নাম Indian Peacock Softshell Turtle এবং বৈজ্ঞানিক নাম Nilssonia hurum. এদের একটির দৈর্ঘ্য ৪৪ সেন্টিমিটার এবং অপরটির ৪৫ সেন্টিমিটার। ওজন প্রায় ৮-৯ কেজি করে ১৬-১৮ কেজি। জলাভূমির নরমকচি ঘাস এবং জলজউদ্ভিদ এদের প্রধান খাবার।
প্রায় ১০ বছর পূর্বে এগুলোর প্রাকৃতিক জলাভূমিতে সহজে পাওয়া যেতো। কিন্তু বর্তমানে প্রাকৃতিক জলাভূমি ধ্বংস হওয়াসহ শীতের শুকনো মৌসুমে বিল-হাওরের পানি শুকিয়ে মাছ ধরায় এই প্রজাতিগুলো খুব সহজে ধরা পড়ে যাচ্ছে। তাদের আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ায় তারা এখন খুবই সংকটাপন্ন ও বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।
এদের সংরক্ষণে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও জানান এই বন্যপ্রাণী গবেষক।
সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম