বৃহস্পতিবার থেকে থেমে থেমে বৃষ্টির পর একিউআই এ ঢাকার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) বাতাসের মান সূচকে ঢাকার অবস্থান ছিল ৩৬তম, এ সময় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ১২২ স্কোর ছিল। তবে অবস্থার উন্নতি হলেও, বাতাসের মান এখনও অস্বাস্থ্যকর বলে জানা যায়।
ইউএনবি’র প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, একই দিন একিউআই সূচকে ৩৭৬ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান ছিল ভারতের দিল্লির। আর মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর ৩১৪ স্কোর নিয়ে এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা ২৭২ স্কোর নিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছিল।
মূলত দীর্ঘদিন ধরেই বাতাসে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ঢাকা। বর্ষাকালে কিছুটা উন্নতি হতে দেখা গেলেও গ্রীষ্ম ও শীতকালে শহরটিতে বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়।
একিউআই মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এরকম পরিস্থিতিতে শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ্য রোগীদের বাড়ির ভেতরে ও অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত, একিউআই সূচক একটি শহরের বাতাস কতটুকু বিশুদ্ধ বা দূষিত এবং সেই সাথে ওই পরিস্থিতিতে কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে সেই তথ্য প্রদান করে থাকে। সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকলে বাতাসের মান ভালো আর সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেওয়া হয়ে তাকে।আর ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর পাওয়ার অর্থ হচ্ছে বাতাসের মান দূষিত।মান ২০১ থেকে ৩০০ হলে মানুষকে বাড়ির ভেতরে থাকতে ও তাদের কার্যক্রম সীমিত রাখার পরামর্শ দেয়া হয়।