দিন দিন রাজধানী ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠছে।গাড়ির ধোঁয়া, রাস্তার ধুলা, কারখানার ধোঁয়া, ইটভাটার ধোঁয়া প্রভৃতি মিশে বায়ুতে দূষিত বালুকণার পরিমান ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছে। তাই এই ধূলিকণা থেকে বাঁচতে মাস্ক পরা একান্ত প্রয়োজন।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাস্ক পা্ওয়া যায়।এর মধ্যে ‘এন ৯৫’ এটি সবচেয়ে কমন মাস্ক। একটানা তিন-চার দিন ব্যবহার করা যায়। এই মাস্ক ২.৫ পিএম (পার্টিকুলেট ম্যাটার) প্রায় শতকরা ৯৫ ভাগ আটকে দেয়। এর দামও খুব বেশি হয় না। ৯০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়।এমনি আরো কয়েকটি মাস্ক বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। যেমন-
‘এন ৯৯ ও এন ১০০’ এটি শতকরা ৯৯ ভাগ রোধ করতে পারে এই মাস্ক। এই মাস্কের দাম ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে।এটি ধুয়ে নিয়ে একাধিকবার ব্যবহার করা যায় আর নিয়মিত ব্যবহার করলে ছ’মাস পরে কিনতে হবে নতুন মাস্ক।
‘পি ৯৫’ তৈলাক্ত দূষণকণাকেও পরিশোধিত করতে পারে।এই মাস্ক এক দিনে আট-ন’ঘণ্টা ব্যবহার করা যায়। ১১০০-১২০০ টাকার মধ্যেই এটি পাওয়া যায়।।
‘এয়ার পিউরিফিকেশন মাস্ক’
শহরের প্রাণকেন্দ্রে যারা থাকেন তাদের জন্য এই মাস্ক উপযোগী।মাস্কের দাম ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা। এই মাস্কের ফিল্টার পালটে নিলে তা আবার কাজ করবে।
‘রেসপ্রো মাস্ক‘ এই মাস্কে পি এম ১০ পর্যন্ত পরিশোধন করা যায়। এটা ব্যবহার করা যায় প্রায় ৭০ ঘণ্টা। মাস্কের দাম ৭৫০ থেকে ১০০০ টাকা।
‘সার্জিক্যাল মাস্ক ‘ সাদা বা নীলচে, সবুজ রঙের এই কাপড়ের মাস্ক সব ওষুধের দোকানেই পেয়ে যাবেন।এতে দূষণ রোধ করার মতো কোনো কাজ হয় না। শুধু ধুলো আটকাতে সক্ষম এই ধরনের মাস্ক সার্জিক্যাল কাজেই ব্যবহার্য।
‘সার্জিক্যাল মাস্ক ‘ বাদে অন্য মাস্ক গুলো ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।