—–মোঃ রাজিবুল ইসলাম (রাজিব)
করোনাভাইরাস মহামারীতে সারা বিশ্ব ব্যাপী এখন চলছে লকডাউন। লকডাউনের প্রভাবে প্রকৃতি তার নিজের মতো করে সেজেছে। স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছে সকল প্রাণী। করোনা মানুষের জন্য অভিশাপ হলেও প্রকৃতির জন্য আর্শিবাদ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
শহর আর গ্রাম নেই অনেক স্থান আছে যেখানে মানুষের পা পড়ে না ২ মাস হলো। মানুষের চলাচলের গতি সীমিত হওয়ায় রাস্তার ঘাষগুলো বেড়ে উঠেছে। বেড়ে উঠেছে সকল আগাছাগুলো।
শহরের খোলা স্থান বলতে খেলার মাঠ। শহরের শিশু-কিশোর আর খেলাধুলা প্রিয় মানুষ অনেক দিন হলো মাঠে খেলতে যাচ্ছে না। ফলে মাঠের দূর্বাঘাস গুলো ডগডগিয়ে বড়ে উঠেছে। সমস্ত মাঠ ছেয়ে গেছে দূর্বাঘাষের সবুজে।
এমন দৃশ্য এখন রাজধানীর সকল মাঠে। আগে সেখানে বিকালে মাঠে মানুষের কলাহলের শেষ ছিলো না। ফুটবল, ক্রিকেট আর নানান খেলায় ব্যস্ত থাকতো শহরের শিশু সহ খেলা প্রিয় মানুষরা। অনেক আবার বিকাল হলে হাটতে যেতেন মাঠে।
কিন্তু গত ২ মাস হলো মানুষ ঘরবন্দি অবস্থায় জীবযাপন করছে। ফলে মাঠে থাকা দূর্বাঘাসের চেহারায় যেন এক উজ্বলভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বেশ কিছু দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীসহ সারা দেশের। বৃষ্টির কারণে মাঠে থাকা দূর্বাঘাসগুলো পানি পেয়ে তৃঞ্চা মেটাচ্ছে ইচ্ছা মতো। গোড়ায় পানি পেয়ে আরো দ্রুত বড় হতে শুরু করেছে ঘাষগুলো।
হয়তো আর বেশিদিন এভাবে ঘাসগুলো থাকতে পারবে না। আবরো খেলা হবে তাদের মাথার উপর দিয়ে। আবারো লুটিয়ে পড়বে মাটি। দেখা যাবে তাদের রুক্ষ চেহারার ছবি। বৃষ্টির ফলে ঘাসের ডগায় একফোটা পানি চিকচিক করছে। হয়তো এই দৃশ্য অনেক দিন মানুষের দেখা হয় না।
Posted by Green Page on Sunday, 10 May 2020
করোনা প্রার্দুভাব চলে গেলে প্রকৃতিতে আবারো হয়তো ভাটা পড়তে শুরু করবে। আবারো কলকারখানার ময়লা আবর্জনা ফেলা হবে নদীতে। চালু হবে দেশের সকল ইটভাটা। চলাচল শুরু করবে যানবাহন।
সবমিলিয়ে আবারো বেড়ে যাবে বায়ু দূষণ আর পানি দূষণ। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য সরকার যদি সঠিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে হয়তো স্বাস্থ্য সম্মত প্রাকৃতিক পরিবেশ টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।
শুধু সরকারের দ্বারা প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। সরকারের সাথে সাথে সচেতন নাগরিক আর সাধারণ মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। এখনই সঠিক সময় আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ ও স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ উপহার দেওয়ার।