30 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ২:৪২ | ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
দুর্গন্ধে সুরমার পাড়ে হাঁটা মুশকিল, হুমকির মুখে পরিবেশ
পরিবেশ দূষণ

দুর্গন্ধে সুরমার পাড়ে হাঁটা মুশকিল, হুমকির মুখে পরিবেশ

দুর্গন্ধে সুরমার পাড়ে হাঁটা মুশকিল, হুমকির মুখে পরিবেশ

নগরে নদীর পাড়ের নয় টি স্থানে ময়লা ও আবর্জনার স্তূপ রয়েছে। এসব স্থান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অসচেতন কিছু লোক এই কাজ করছে।

সিলেট শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে সুরমা নদী। নগরের তোপখানা এলাকা থেকে কানিশাইল পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটারে নদীর পাড়ের মোট ৯টি স্থানে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। পাড় থেকে ময়লা নদীতে পড়ে দূষিত হচ্ছে পানি।

ময়লার স্তূপ থেকে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ পরিবেশে। এতে নদীর তীরের বাসিন্দারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সকাল ও বিকেলে জনসাধারণ যাঁরা নদীর তীরে হাঁটাহাঁটি করেন, তাঁরাও দুর্গন্ধে টিকতে পারছেন না।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, এলাকার মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ নদীর পাড়ে পচা এবং উচ্ছিষ্ট খাবার, কলার কাঁদি, প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের খালি প্যাকেটসহ বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা ফেলে। এসব ময়লা-আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের তোপখানা, শেখঘাট, কাজিরবাজার, ডহর, কলাপাড়া ও কানিশাইল এলাকায় নদীর পাড়ের ৯টি স্থানে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ রয়েছে।

ডহর ও কলাপাড়া এলাকায় নদীর পাড়ে ময়লা ফেলার জন্য প্লাস্টিকের পাত্র থাকলেও লোকজন সেগুলোতে তেমন ময়লা ফেলছে না। হাতের নাগালেই ময়লা ফেলার পাত্র থাকার পরও নদীর পাড়েই যেখানে সেখানে তাঁরা আবর্জনা ফেলছেন।



কলাপাড়া এলাকার গৃহিণী মৌসুমি আক্তার জানান, তার ডায়াবেটিস থাকায় প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে তিনি নিয়মিত নদীর পাড় ধরে হাঁটাহাঁটি করেন। কিন্তু বাসা থেকে বের হলেই তাঁর চোখে পড়ে আবর্জনার স্তূপ। বাতাস থাকলে দুর্গন্ধ বাড়ে। ফলে স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটাচলা করতে পারেন না।

কলাপাড়া এলাকার আরও কয়েকজন বলেন, বাসাবাড়ির লোকজনদের চেয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নদীর পাড়ে বেশি আবর্জনা ফেলে। নদীর পাড়ে দিনের পর দিন আবর্জনা পড়ে থাকলেও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তা পরিষ্কার করা হয় না।

ডহর ও কলাপাড়া এলাকার দুই বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করে বলেন, নদীর পাড়ে প্লাস্টিকের যেসব পাত্র বসানো হয়েছে, সেগুলো আকারে অনেক ছোট। ময়লা ফেলার ওই পাত্রে শুধু শুকনো ময়লা যেমন খাবারের প্যাকেট, বোতল, প্লাস্টিক এবং পলিথিনের ব্যাগ ফেলা যায়। তাই বাসা ও দোকানের বর্জ্য সেসব পাত্রে না ফেলে নদীর পাড়ে নিয়ে ফেলা হয়।

সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা মো. হানিফুর রহমান বলেন, নদীর পাড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রায়ই সচেতন করা হয়।

কেউ যেন ময়লা ফেলে নদী দূষণ না করেন, সে জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়ে থাকে। এমনকি মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে ময়লা ফেলার দায়ে জড়িতদের জরিমানাও করা হয়ে থাকে। এরপরও ময়লা ফেলা থামছে না। আবারও সেখানে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো হবে।

সুরমা নদী তীরের ডহর, কলাপাড়া ও কানিশাইল এলাকা তিনটি পড়েছে সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. তারেক উদ্দিন তাজ বলেন, অনেকেই পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাছে ময়লা না দিয়ে নদীর তীরে নিয়ে ফেলছেন।

এটি খুবই দুঃখজনক। বারবার নদীর পাড়ে ময়লা না ফেলার জন্য স্থানীয়দের সচেতন করা হয়। বিষয়টির স্থায়ী সমাধানের জন্য চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত