ভারতের দিল্লিতে দূষণে প্রাণ ওষ্ঠাগত। সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে। তাই ৪০ শতাংশ বাসিন্দা চাইছেন দিল্লি এবং এনসিআর স্থায়ীভাবে ছেড়ে দিতে। ১৬ শতাংশ বাসিন্দা চাইছেন অন্তত এই জরুরি অবস্থায় শহরের বাইরে থাকতে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। ১৭ হাজার মানুষের কাছ থেকে দীপাবলি এবং তার পরবর্তী সময়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এই সমীক্ষায়।
দীপাবলির সময় থেকেই দিল্লির অবস্থা ভয়াবহ। দূষণ সামান্য কমবে ভাবা হলেও শনিবার থেকে বৃষ্টির জেরে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে। শনিবার এবং রবিবার বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ৯৯৯ ছাড়িয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। এই অবস্থায় লোকাল সার্কেল নামক একটি অনলাইন প্ল্যাটফরম দিল্লি এবং এনসিআর এলাকায় ১৭ হাজার বাসিন্দার ওপরে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। তাতেই উঠে আসছে এই তথ্য। দিল্লির ৪০ ভাগ বাসিন্দা আর দিল্লিতে থাকতেই চাইছেন না। আবার দূষণের জেরে যখন বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ, বাড়ি থেকে বেরোনোও বন্ধ হওয়ার উপক্রম তখন দিন কয়েকের জন্যে ঘুরে আসতে চাইছেন অন্য জায়গা থেকে।
কয়েক দিন ধরে লাগাতার দূষণের কবলে ঢেকে থাকা দিল্লি শনিবার দুপুরে এমন একটি পরিস্থিতিতে পৌঁছায় যে, জনস্বাস্থ্যসংক্রান্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত পরিবেশ দূষণ (প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষ। স্কুলগুলোর ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
বহু মানুষ জানিয়েছেন, চোখ জ্বালা করছে ও প্রবল কাশি হচ্ছে। লোকাল সার্কেলের সমীক্ষায় রাজধানীর নাগরিকদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যও আছে। দেখা যাচ্ছে, ১৩ শতাংশের বেশি নাগরিক এরই মধ্যে শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়েছেন। ২৯ শতাংশ একাধিকবার হাসপাতালে গিয়েছেন। ৪৪ শতাংশ নাগরিক শারীরিক সমস্যায় ভুগলেও চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
গতকাল দিল্লির বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৬২৫। সব দিক খতিয়ে দেখে তাই ফের আজ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে জোড়-বিজোড় নীতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। সূত্র: খবর আনন্দবাজার পত্রিকা ও এনডিটিভির।