পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের খড়ের ধোঁয়াতেই দিল্লীর বায়ু বেশি দূষিত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।এছাড়াও আরেকটি হচ্ছে যানবাহনের ধোঁয়া।প্রায় ১৫ লাখ গাড়ি চলে প্রতিদিন।এ ক্ষেত্রে কেজরিওয়াল সরকার জোড়-বিজোড় নীতি প্রক্রিয়া চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।ভারতের নয়াদিল্লি এখন বাতাসে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে।গত ১৭ বছরের ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে খারাপ আবহাওয়া পরিস্থিতি।
বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই খড় পোড়ানো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন । কিন্তু তবুও রোববার পাঞ্জাবজুড়ে ২৮৫৬টি ক্ষেতে নাড়া পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। সাংরুর, পাতিয়ালা, ফিরোজপুর, ফরিদকোট, বাথিন্দা থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষেত পোড়ানোর ঘটনা পাওয়া গেছে।
দিল্লিও পার্শ্ববর্তী গুরুগ্রাম এবং নয়ডার অধিবাসীদের অভিযোগ, বৃষ্টিতেও লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। শ্বাস নিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। চোখ-মুখ জ্বালা করছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় চাষিরা খড় পোড়ানো বন্ধ করেননি।
জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ বলেছেন, বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ির ভেতরে থাকতে বলা হয়েছে বাবা-মায়েদের।
ভয়াবহ এই বায়ুদূষণ শুধু দিল্লিতেই আটকে নেই।ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকাতেও। ছুটছে রাজস্থানেও। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট নিজেই এই শঙ্কার কথা বলেছেন।
সোমবার সকাল থেকেই ঘন ধোঁয়াশা ছিল দিল্লিতে। রাজধানীজুড়ে রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এদিন বাতাসে দূষিত কণা পিএম-২.৫-র মাত্রা ছিল সাধারণের তুলনায় ২০ গুণ বেশি।এর চারদিন পরেও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। দিল্লির বেশ কিছু এলাকা যেমন আরকেপুরমে পিএম ২.৫ ও পিএম ১০ এতটাই বেশি পরিমাণে বাতাসে পাওয়া গেছে যে, বাসিন্দাদের জন্যে যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই পদার্থের উপস্থিতি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী বাতাসে পিএম ২.৫ নামের পদার্থটি যদি প্রতি কিউবিক মিটারে ৬০ মাইক্রোগ্রাম করে থাকে, তাহলে ভয়ের কোনো কারণ নেই। কিন্তু আরকেপুরম এলাকায় সকালের দিকে প্রতি কিউবিক মিটারে প্রায় ৯৫৫ মাইক্রোগ্রাম উপস্থিতি পাওয়া গেছে।