শীতের কনকনে ঠান্ডায় পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় দুর্ভোগে রয়েছে কুড়িগ্রামের শ্রমজীবীসহ জেলার ৪ শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের বাসিন্দারা। মৃদু শৈত্য প্রবাহে পর দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীত থেকে রেহাই পাচ্ছে না এলাকাবাসী। জেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার বলছে, তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও চলতি মাসের শেষে আবারও শৈত্য প্রবাহের কবলে পড়তে পারে এই জেলা।
জেলার আবহাওয়া সূত্রে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্দি পেলেও রাতের তাপমাত্রা অনেকটা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে আগামী ২৯ ডিসেম্বরের পর আরও একটি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মাঝখানে ২৫ কিংবা ২৬ ডিসেম্বর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হতে পারে।
গতকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জেলার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ৩৮ জন রোগী ডায়রিয়া এবং ২৬ জন রোগী নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে যার বেশির ভাগই শিশু।কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহিনুর রহমান সরদার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছে ১০ জন শিশু এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন। ডায়রিয়া আক্রান্ত ২৬ জনের মধ্যে ২৩ জনই শিশু। এ ছাড়া ডায়রিয়া ও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছে ২৮ জন রোগী।
জরাজীর্ণ বাসস্থান আর শীত নিবারণের পর্যাপ্ত পোশাক না থাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। যাদের সামান্য সাধ্য রয়েছে তাদের অনেকেই ছুটছেন পুরাতন কাপড়ের দোকানে।যদিও জেলা প্রশাসনের দাবি, জেলার ৯ উপজেলায় শীতার্ত মানুষের জন্য ৫১ হাজার ৫শ ১৪টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা ইতোমধ্যে জেলার ৯ উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে।