-মোঃ রাজিবুল ইসলাম (রাজিব)
করোনাভাইরাস প্রাদূর্ভাবে ঝিনাইদহে বাগানেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে থাই পেয়ারা। গত কয়েকবছর যাবৎ বাণিজ্যিকভাবে থাই পেয়ারা চাষ করে লাভবান হয়েছেন ঝিনাইদহের বাগান মালিকরা। কিন্তু এবছর করোনার কারণে ভিটামিন সি যুক্ত ঝিনাইদহের থাই পেয়ারা চাষিরা বেশ ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন।
কৃষি বিভাগ থেকে পাওয়া তত্যানুযায়ী ঝিনাইদহ জেলার ছয় উপজেলায় এবছর পেয়ার আবাদ করা হয়েছে ১ হাজার ৮ হেক্টর জমিতে। আর সেখানে উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯’শ ৬৫ মেট্টিক টন পেয়ারার।
তথ্যানুযায়ী জেলার সদর, হরিণাকুন্ডু, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুরে গত কয়েক বছর যাবৎ পেয়ারা চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন অনন্ত কয়েকশত বাগান মালিক।
বর্তমানে ভিটামিন সি যুক্ত লেবু, মাল্টা ও কমলার সরবরাহ না থাকায় সেখানকার ভিটামিন সি যুক্ত থাই পেয়ারার স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু দেখা দেখা দিয়েছে পরিবহন সংকট। যার কারণে সেখানকার পেয়ারা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
সেখানকার পেয়ারা খুলনা, ঢাকা, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয় কিন্তু এখন করোনা পরিস্থিতে তা পাঠাতো সম্ভব হচ্ছে না। তাই লোকসানের আশংকা করছেন থাই পেয়ারার বাগান মালিকরা। বাগান মালিকদের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন এই ব্যবসার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরাও।
ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃপাংশ শেখর বিশ্বাস জানিয়েছেন যে, পেয়ারা বাজারজাত করণ ও পরিবহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করা হয়েছে। চাষীরা যদি সমস্যায় পড়েন তাহলে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদরে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে।