জয়পুরহাট চিনিকল বর্জ্য শোধনাগার ছাড়াই চিনি উৎপাদন করছে শুরু থেকে।ফলে অপরিশোধিত বর্জ্যের পানি নর্দমার মাধ্যমে খাল-বিল হয়ে তুলশীগঙ্গা নদীতে মিশেছে।যার কারনে নদীর পানি কালচে হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। গৃহস্থালি ও কৃষিকাজেও ব্যবহার করা যাচ্ছে না পানি।দূষিত নদীর পানিতে মরে যাচ্ছে মাছ।এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ২০ গ্রামের প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা আমেনা বেগম জানান, সুগার মিল চালু হওয়ার পর নদীর পানি কালো হয়ে গেছে। এজন্য আমরা নদীর পানি ব্যবহার করতে পারি না।
স্থানীয় কৃষক আবদুল খালেক বলেন, চিনিকলের ময়লা পানি জামালগঞ্জ খাল দিয়ে শ্রী খালে এসে পড়ে। আর শ্রী খালের পানি যায় তুলশীগঙ্গা নদীতে। ফলে নদীর পানি কালচে হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে মাছও মারা যাচ্ছে। ওই পানি কৃষি কাজেও ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
এদিকে পরিবেশের মারাত্মক দূষণ ঘটলেও তা মানতে নারাজ চিনিকল চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন আকন্দ।তাদের দাবি, চিনিকলের অপসারিত পানি তাদের নিজস্ব ক্যানেলে জমা হয়।
তিনি বলেন, ‘চিনিকলের বর্জ্যে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে অথবা মাছ মরছে একথা ঠিক নয়। চিনিকলের দূষিত পানি সংরক্ষণের জন্য আমরা পৃথক ক্যানেল করেছি। বাকি যে পানি বাইরে যায়, তা দূষিত নয়।’