সারা বিশ্বে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালিত বিশ্ব বন দিবস। প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।সরকারের পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশ টিকিয়ে রাখার জন্য পরিবেশবাদী সংগঠন, পরিবেশকর্মী আর পরিবেশ গবেষকরা বিভিন্নভাবে অবদান রাখছে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যাচ্ছে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত আর পরিকল্পনা পরিবেশকর্মীদের কাছে গ্রহণ যোগ্য হয়ে উঠছে না। কারণ পরিবেশ কর্মীদের কথা হচ্ছে বন ধ্বংস করা যাবে না। সরকারও কিন্তু একই কথা বলছে সরকার বলছে প্রাকৃতিক পরিবেশ বা বন ধ্বংস করে কোন উন্নয়ন নয়। কিন্তু জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়ায় যে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ভাবা হচ্ছে তাতে করে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস হবে বলে মনে করছেন পরিবেশকর্মী আর গবেষকরা।
এরই মধ্যে মৌলভীবারের কমলগঞ্জের জাতীয় উদ্যান লাউয়াছাড়ায় প্রাকৃতিক বন ধ্বংসের কাছাকাছি।এমনিতেই গাছশুন্য হয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে বনে। এখন যদি এখানে ইকোট্যুরিজম এর আওতায় বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয় তাহলে বনের অনেক ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন পরিবেশকর্মীরা। এরই মধ্যে সেখানে ২২ কোটি টাকা ব্যায়ে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা করছে বন বিভাগ।
বন বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এ বনের চিত্র ফুটে উঠবে ইট পাথরে। পরিবেশকর্মী ও গবেষকদের ধারণা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বনে থাকা বন্য প্রানী আর উদ্ভিদবৈচিত্র চরম বিপদে পড়বে।
বন বিভাগের সূত্রানুযায়ী জানা জানা গেছে, কমলগঞ্জের জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়াসহ আরও ৩টি ইকোপার্ক উন্নয়নের জন্য বন বিভাগ দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছে বন বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় ‘লাউয়াছড়া-সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক বনায়ন ও ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন’ নামে একটি মহা পরিকল্পা বাস্তবায়ন করার জন্য পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করেছে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। আর প্রস্তাবের ব্যয় হিসেবে ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।
এদিকে মৌলভীবাজার পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে , এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জীব বৈচিত্র্য নষ্ট হবে। একইসাথে লাউয়াছড়া পরিণত হবে একটি পিকনিক স্পট হবে।
অন্যদিকে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. আনিসুর রহমান জানান, আমরা যা করছি বনের ভালোর জন্যই করছি। আর এখানে নেগেটিভ কিছু নেই।প্রকৃতপক্ষে লাউয়াছড়ার ভেতর থেকে পর্যটকদের চাপ কমাতেই আমরা এক পাশে নিয়ে যাচ্ছি।