বর্তমানে চলমান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোর মধ্যে অন্যতম ইস্যু হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা। ১৬ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর অন্যতম।জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশসহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে ৬০০ কোটি পাউন্ডের তহবিল দেবে যুক্তরাজ্য।যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩ হাজার ২৪০ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এ তহবিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন শনিবার ইউএনবিকে বলেন, বৈশ্বিক শান্তি রক্ষার অনেকগুলো উপায়ের মধ্যে একটি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করা। আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষে এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী শান্তি বজায় রাখা এবং পরিস্থিতির আরও উন্নয়নের একটি মাধ্যম হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ শান্তি ও জলবায়ুর মধ্যে একটি গভীর সংযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটে’ অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে জলবায়ু পরিবর্তনে সহনশীলতা ও অভিযোজন বিষয়ে বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাজ্য।
রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া ও ভবিষ্যতের জন্য সহনশীল পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি নিতে যুক্তরাজ্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।’
প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব হ্রাস এবং এর প্রস্তুতির জন্য গত দশকে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথাও উল্লেখ করেন রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু অভিযোজন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাজ্য।’
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতির বিষয়টিও স্পষ্ট করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। তিনি বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ব্যয় দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ। এর অংশ হিসেবে ‘সবুজ জলবায়ু তহবিল’ পূর্ণ করতে লন্ডন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।