বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। ধারণা করা হচ্ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে এসব অঞ্চল তলিয়ে যাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ। অন্যদিকে লবণাক্ততা বৃদ্ধিরও প্রভাব পড়ছে প্রত্নতত্ত্ব স্থাপনার উপর। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব থেকে খুলনা অঞ্চলের প্রত্নতত্ত্ব সম্পদকে রক্ষার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০) ‘পরিবর্তনশীল ও জলবায়ু পরিবর্তনের মুখোমুখি প্রতিবেশে প্রত্নতাত্ত্বিক মাঠকর্মের উদ্দেশ্য ও পদ্ধতি: পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল’ শীর্ষক এক কর্মশালায়ের আহ্বান জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক আফরোজা খান।এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সহকারী পরিচালক এ কে এম সাইফুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল-আল-মামুন, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহমেদ জিয়াউর রহমান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সুন্দরবন রক্ষা করাই এখন আমাদের নিকট বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সুন্দরবনের চারপাশে আর বড় কোনো স্থাপনা নির্মাণ করার অনুমতি দেওয়া হবে না এবং যেসব স্থাপনা রয়েছে সেগুলো থাকার কারণে কী ধরনের ক্ষতি হচ্ছে তা যাচাই করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল-আল-মামুনও জানান যে, সুন্দরবনের কাছাকাছি গড়ে ওঠা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর বর্জ্যের কারণে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
জানা যায়, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে সংরক্ষিত পুরাকীর্তির সংখ্যা ১১০টি ও দুইটি বিভাগীয় জাদুঘরসহ মোট ৮টি জাদুঘর রয়েছে।
উল্লেখ্য, সেমিনারে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকেরা অংশগ্রহণ করেন।