গত ৫০ বছরের ইতিহাসে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন বন্য প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ঢুকেছে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে অনেক মানুষ। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মরে যাওয়ার পরিমাণ অনেক। এসময়ের আলোচিত করোনাভাইরাস। দেখা যাচ্ছে এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এপর্যন্ত ২৫৯ জন মরা গিয়েছে।আক্রান্ত হয়েছে আরো ১২ হাজার। এছাড়াও অন্যান্য ১৬টি দেশ করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে।
রয়াল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এফেয়ার্স এর গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক টিম বেনটন জানালেন এক গবেষণা তথ্য যেখানে দেখা তিনি বলছেন গত ৫০ বছরে অনেকবারই এমন হয়েছে যে, বিভিন্ন প্রাণীর দেহ থেকে ভাইরাস ঢুকে পড়েছে মানুষের শরীরে।
আমরা যদি বিভিন্ন ভাইরাসের ইতিহাস দেখি তাহলে দেখা যাবে যে, ১৯৮০-এর দশকে এইচআইভি/এইডস ভাইরাসের সূচনা হয়েছিল বানরজাতীয় প্রাণী থেকে । অন্যদিকে ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এভিয়ান ফ্লু ছড়িয়েছিল পাখী থেকে। আবার ২০০৯ সালে শূকরের দেহ থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে দেখা দিয়েছিল সোয়াইন ফ্লু। এদিকে কিছুকাল পূর্বে বাদুড় ও গন্ধগোকুল থেকে ছড়ায় সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সার্স নামের রোগ এক জাতীয় রোগ। বাদুড় থেকে সূচনা হয়েছিল আফ্রিকায় ছড়ানো ইবোলা রোগেরও।
বিভিন্ন বিষয় ও তথ্য বিরবরনী এবং ভাইরাসের ইতিহাস থেকে বলা যেতেই পারে যে মানুষ সব সময় কোন না কোন প্রাণীর দেহ থেকে আসা নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে একই সাথে দিয়েছে প্রাণও। মারা গিয়েছে শত শত মানুষ। সৃষ্টি হয়েছে আত ভীতির। অর্থাৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি মানুষের যে বিভিন্ন সংক্রমণ দেখা দেয় তার বেশিরভাগই আসছে প্রাণী থেকে বিশেষ করে বন্যপ্রাণী থেকে।
ধারণা করা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্বায়নের জন্য সামনে এরকম সমস্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ প্রাণীর সাথে মানুষের যোগাযোগের প্রকৃতিও এসব কারণে যাচ্ছে বদলে ।
বিভিন্ন কারণে মানষজাতির ৫৫ ভাগই এখন শহরে বসবাস করে থাকে।আর বড় বড় এই সব শহরে বাসা করছে বন্যপ্রাণীরা। বিশেষ করে বানর, ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, শিয়াল, নানা রকম পাখীসহ বিভন্ন জাতের প্রাণী। শহরে অবস্থিত পার্কে ঐ সকল প্রাণীরা মানুষের ফেলে দেয়া খাবার খায়। মানুষ ও প্রাণীর দুরত্ব খুব একটা বেশি থাকছে না। শুধু পার্কে বলা ভুল হবে কারণ পর্কের পাশাপাশি এখন বাসা বাড়িতে পালন হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী। যার ফলে শহরগুলো হয়ে উঠছে নানার রকম রোগের বিবর্তনের কেন্দ্র বিশেষ ।
কারণীয় :
কিন্তু যদি পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ সঠিকভাবে করা যায় তাহলে হয়তো – প্রাণীর মাধ্যমে রোগ বিস্তার ঠেকানো অথবা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্য দিকে পরিবেশগত পরিবর্তন ঠেকানোর চেষ্টা রাখতে হবে অব্যাহত, চিহ্নিত করতে হবে নতুন প্যাথোজেন।জানতে হবে কোন কোন প্রাণী বহন করছে।