দেশের ৫৫ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এদের মধ্যে বেশিরভাগ জেলা লকডাউন হয়ে গেছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিঘ্ন ঘটায় দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দুর্দশা চলছে। এতে করে কৃষকরা খুবই বিপাকে রয়েছেন। তারা তাদের চাষের ফসল-সবজি বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে জমিতেই পঁচে নষ্ট হচ্ছে সেগুলো।
প্রাণঘাতী করোনার কারণে সম্প্রতি বগুড়া জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে পূর্বে বিভিন্ন জেলা থেকে যেসব পাইকারি ব্যবসায়ীরােআসত তারা এখন লকডাউন এর কারণে আসতে পারছে না। এদিকে কৃষকরাও হাটে-বাজরে তেমন সবজি বিক্রি করতে পারছেন না। গতকাল এমনি দৃশ্য দেখা যায় বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ভাটগ্রামের ২ বিঘা জমির ওপর গাছে ঝুলছে অনেক পাকা টমেটো। আাবার অনেক জায়গায় কাঁচা টমেটোও দেখা যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জমিটি ওই গ্রামের কৃষক রুহুল আমিনের।
লকডাউনের কারণে নন্দীগ্রাম উপজেলায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে পাইকাররা আসতে পারছে না। এদিকে হাটে-বাজরেও বিক্রি হলেও আগের মত মূল্য পাচ্ছেন না। অথচ করোনা আসার আগে দিন প্রতি ১০ মণ টমোটো বিক্রি করতাম। দামও তখন ভালো ছিল। কিন্তু এখন মূল্যও কমে গিয়েছে আবার বিক্রিও তেমন হচ্ছে না। তাই জমিতে টমেটো পেকে ঝড়ে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এতে তার প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হতে পারে। তার মতো অনেক চাষিরই একই অবস্থা।
কৃষি কর্মকর্তা মো. আদদান বাবুর সাথে কথা বলে জানা যায় যে, এই মৌসুমে উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ করা হয়েছে। কিন্তু করোনার প্রভাবে যাদের জমির টমেটো নষ্ট হচ্ছে, তাদের টমেটো বাজারজাত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।