করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ এখন ঘরবন্দী। কিন্তু দাবদাহ ঘরবন্দি নয়। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এই পরিস্থিতিতেও অতি দরিদ্র মানুষেরা বের হচ্ছেন রাস্তাঘাটে । তারা শিকার হচ্ছেন এই তাপপ্রবাহের। গত প্রায় ১৫ দিন ধরে প্রতিদিনই বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে এবং যাচ্ছে।
কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা ঠেকছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ এপ্রিল। এ দিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছুঁয়েছে আরও দুই দিন। ৮ ও ৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে রাজশাহীতে।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ জানান, ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সঙ্গে যদি বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকে তাহলে গরম অনুভব আরও বেশি করে বোঝা যায়। আর আদ্রতা কম থাকার কারণে গরম একটু কম অনুভব হয়েছে। যারা ওই তাপমাত্রায়ও মাঠে কাজ করেন, ৪০ ডিগ্রি হলেও তারা মাঠে কাজ করতে পারেন।
সবাই পারবেন না, যে কৃষকের কাজ করার অভ্যস্ততা আছে, তিনি পারবেন। তারপরও এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে।