প্রকৃতির প্রতিক‚লতা থেকে বাঁচতে উষ্ণতা ও আশ্রয়ের খোঁজে মাগুরার মহম্মদপুরে এসেছে দূরদূরান্তের অতিথি পাখিরা।
সোনালী আভার সঙ্গে মায়াবী সন্ধ্যার মিশেলে এসব অতিথি পাখির ঝাঁকে ঝাঁকে বিচরণ, কিচিরমিচির আর জলে ডানা ঝাপটানোর শব্দ ঘোপ বাওড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
প্রতিদিনই মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। অথচ জালসহ বিভিন্ন উপায়ে ফাঁদ পেতে শিকার হচ্ছে এসব অতিথি পাখি। এতে করে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অন্তরায় হয়ে উঠছে ঘোপ বাওড়।
নানা প্রজাতির পাখি নির্দিষ্ট সময়ে শীতপ্রধান দেশ থেকে ছুটে আসে এই বাংলাদেশে। একটু উষ্ণতা, আশ্রয় ও খাবারের জন্য এসব পাখি পাড়ি দেয় হাজার মাইল পথ।
বালি হাঁস, সারস পাখি, ডুবুরি পাখিসহ নানা অতিথি পাখির সঙ্গে দেশীয় পাখির কলকাকলিতে ভরপুর এই ঘোপ বাওড়ের এই নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশু, নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ইতিমধ্যে আসতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘোপ বাওড় এলাকায় নেট জাল দিয়ে ফাঁদ পাতা হয়েছে পাখি শিকারের জন্য। এক শ্রেণির পাখি শিকারিরা আইন অািন্য করে এসব পাখি শিকার করছেন বলে জানা যায়।
মহম্মদপুর উপজেলার বাসিন্দা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আব্বাস আল কোরেশী জানান, শীতের শুরুতেই বাওড়ে অতিথি পাখির দেখা মেলে। অতিথি পাখির ঝাঁক বেঁধে বিচিত্র স্বরে ডাকতে ডাকতে উড়ে চলা আমাদের মুগ্ধ করে।