ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতে ২ থেকে ৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে পটুয়াখালীর বিভিন্ন অঞ্চলের চর ও নিম্নাঞ্চল আর ফসলি জমি। বাতাসে উপড়ে গেছে বহু গাছপালা। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমনের ক্ষেত ও কাঁচা ঘরবাড়ী।
জানা গেছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ অতিক্রম করার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়। খেপুপাড়ায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১১৭ কিলোমিটার।
গতকাল রবিবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টার পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সর্বোচ্চ বাতাস হয়েছে খেপুপাড়ায়, সেখানে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ১১৭ কিলোমিটার।’
শনিবার দিবাগত রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে পটুয়াখালীর বিভিন্ন অঞ্চলের চর ও নিম্নাঞ্চল। স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে আমনের মাঠ। দমকা হওয়ায় উপড়ে পড়েছে বহু গাছ পালা।এছাড়াও কলাপাড়া, গলাচিপা, রাঙ্গাবালী, দশমিনা ও বাউফল উপজেলার চরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি চর জোয়ার আর বৃষ্টির পানিতে ২ থেকে ৩ ফুট প্লাবিত হয়ে যায়। বেশ কিছু কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়ার কিছু ক্ষতিগ্রস্থ বেড়ীবাধ দিয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হয় বেশ কয়েকটি গ্রাম।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার গোলাম সরোয়ার জানান, ক্ষয় ক্ষতির তালিকা এখনও প্রস্তুত হয়নি। প্রস্তুত করতে সময় লাগবে। তাই পরে জানানো হবে।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, বেশ কিছু এলাকা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তবে বেশী ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে আমনের। প্রতি উপেজলায় তালিকা তৈরীর কাজ চলছে, হাতে পেলেই দেয়া হবে।