ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কবলে পড়ে অনেক গাছ ভেঙে গেছে। শুধু যে গাছের ক্ষতি হয়েছে তাই নয় ক্ষতি হয়েছে অন্যান্য অনেক কিছুর। ভেসে গেছে মাঘের ঘের, পড়ে গেছে গাছের আম, ঝড়ে গেছে লিচু, তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম, ভেঙে গেছে বাঁধ।
ঝড়ের কবলে পড়ে গাছের ক্ষতি হয়নি এমন ঘটনা হয়তো এবার প্রথম। ঝড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছের ক্ষতি হয়। গাছ ও গাছের ডালপালাগুলো ভেঙে পড়ে কিন্তু এবার আর তা ঘটেনি। বিশেষ করে প্রতিবছরই ঝড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্যারিস রোডের গাছগুলো লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তবে এবার রাজশাহীতে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সেই প্যারিস রোডের গাছগুলো অক্ষতই আছে।
গত বছরের ১৭ মে কালবৈশাখীতে প্যারিস রোডের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল। ওই বছর প্যারিস রোডের ১০টি গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাছ ভেঙে বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ ছিল প্রায় এক দিন। প্যারিস রোডের গগন শিরীষগাছ পড়ে উপাচার্যের বাসভবনের প্রাচীর ২০ ফুট ভেঙে গিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝড়ের পরও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গাছগুলোর বেশ কিছু ছোট ছোট ডালপালা ভেঙে পড়ে আছে। ক্যাম্পাসের পশ্চিমপাড়ায় ছাত্রীদের আবাসিক হলের পাশে রাস্তায় বেশ কিছু গাছ পড়ে ছিল। সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পশ্চিমপাড়ায় শিক্ষকদের কোয়ার্টার এলাকায় কয়েকটি আমগাছ ভেঙে গেছে। শহীদ শামসুজ্জোহা হলের সামনে একটি কৃষ্ণচূড়াগাছ পড়ে গেছে। তবে প্যারিস রোডে কেবল দুটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত ২টা ৫৫ মিনিট থেকে ২টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার বেগে ঝড় হয়েছে রাজশাহীতে। আর রাত ১২টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, এবারই প্রথম এমন ঝড় হলো, যেখানে প্যারিস রোডের তেমন ক্ষতি হয়নি। ক্যাম্পাসের কয়েকটি জায়গায় বেশ কিছু গাছ ভেঙে গেছে। সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো।