রাজধানীসহ দেশের অনেক অঞ্চলে বৃষ্টির পর আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।এদিকে অসময়ের বৃষ্টিতে পানি জমে মাঠে থাকা বোরো ধানের বীজ, সবজি, সরিষা ও গমের অপরিণত চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানান, শীত–কুয়াশা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির এই সময়টায় ফসলের বিশেষ করে যত্ন নিতে হবে। ৮ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের অনেক এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের কয়েকটি জেলায় আজ সোমবার থেকে শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।থাকবে দু-তিন দিন। এরপর কয়েক দিন বিরতি দিয়ে আবারও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।
আজ সোমবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ।দেশের রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বেশির ভাগ এলাকায় এবং চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে আজ শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে বৈরি আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় আমন ধান কাটা হয়ে গেলেও বরিশাল বিভাগের অনেক স্থানে মাঠে এখনও আমন ধান রয়েছে। পেকে সোনালি হয়ে ওঠা এই ধান বৃষ্টি ও ঘনকুয়াশায় জমিতেই ঝরে পড়ছে। এ অবস্থায় আমন চাষিরা বেশ শঙ্কায় রয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে গত ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহের পূর্বাভাসে মাঠে থাকা পাকা আমন ধান দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
জানা যায়, গতকাল রোববারের বৃষ্টিতে দক্ষিণাঞ্চলে আমনসহ নানা ধরনের সবজি, খেসারি ও রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমনের পাকা ধান বৃষ্টিতে শুয়ে পড়ায় মাঠে কাদাজলে গড়াগড়ি খাচ্ছে। এতে কৃষক ধান তুলতে পারলেও সেসব ধানের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বরিশাল জেলার শার্শি গ্রামের কৃষক খালেক মোল্লা আমন ধান চাষ করেছেন।তিনি জানান, বৃষ্টির সম্ভাবনায় কয়েক দিন আগেই ধান কাটা শুরু করেছিলেন। ধান কেটে খেতে স্তূপ করে রাখার পর বৃষ্টিতে তা ভিজে গেছে।৩৫ হাজার টাকা খরচ করে ১ একর ২০ শতক জমিতে আমন রোপণ করছিলেন তিনি।এখন ধানের যে অবস্থা, তাতে বিক্রি করে খরচ উঠবে কি না সন্দেহ আছেবলেও জানান তিনি।
এদিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলারে এক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নির্দেশে তিনি জমি থেকে পানি সরিয়েছেন।এমনকি বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়েও ঢেকে দিয়েছেন। কিন্তু এতেও বীজ থেকে ঠিকমতো চারা গজাচ্ছে না। এখন বাজার থেকে বোরো ধানের চারা কিনে নতুন করে রোপণ করতে হবে।