আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “শুধু উন্নয়ন না, দুর্যোগ মোকাবিলায়ও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জন করেছে।বিশ্বে এখন আমরা শুধু উন্নয়নের রোল মডেল না, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায়ও রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ সম্মান পেয়েছে।’’
আজ রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশের ১৪ জেলায় ১০০টি বহুমুখি আশ্রয় কেন্দ্র এবং গৃহহীন মানুষের জন্য ১১ হাজার ৬০৪টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, অগ্নিনির্বাপণে যেন ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস পায়, সেজন্য যা যা ব্যবস্থা নেয়ার ইতোমধ্যে তা আমরা নিয়েছি, যা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং সবাই এখন মনে করে বাংলাদেশ থেকে এটাও শেখার আছে। অনেকে আমাদের কাছে জানতেও চায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ‘দুর্যোগ-ঝুঁকি হ্রাসকরণ’ সম্পর্কিত জাতিসংঘের অফিস থেকে প্রণীত এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘বিল্ড টু লাস্ট’র আলোকে ‘নিয়ম মেনে অবকাঠামো গড়ি, জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি হ্রাস করি’ প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে।এটি আমাদের সামগ্রিক লক্ষ্য ও কৌশলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। আমরা যা কিছু তৈরি করব, আমাদের মাথায় রাখতে হবে বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ। কাজেই সেই দুর্যোগে মানুষের ক্ষতি যেন না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখতে হবে।যারাই ভলান্টারি সার্ভিস দেন তারা সবাই আন্তরিকভাবে, একেবারে নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে কাজ করেন।’
উল্লেখ্য, এ বছরের জুলাই মাসে ঢাকায় ‘গ্লোবাল কমিশন অ্যান্ড অ্যাডাপটেশন’র সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন দুর্যোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব অভিযোজন কেন্দ্র, ঢাকা অফিস স্থাপনের ঘোষণা দেন।