গাছের ডালে ডালে পাখিদের নীড় বেঁধে দিচ্ছে পুলিশ
চুয়াডাঙ্গায় গাছের ডালে ডালে পাখিদের নীড় ঝোলানো হচ্ছে এবং এর মাধ্যমে এখানে পাখির ব্যাপক উপস্থিতি ও সংরক্ষনের প্রচেষ্টা চলছে। অভয়ারণ্য গড়তে শহরের প্রতিটি গাছের ডালে নীড় বেঁধে দিচ্ছেন জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস ও তার সহযোগীরা।
২০২০ সালের ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ সোমবার সকালে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা শহরের পুলিশ লাইনের সামনে থেকে গাছের ডালে কলস ও বাঁশের তৈরি পাখিদের বিভিন্ন ধরনের বাসা বেঁধে দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করেন ।
‘পুলিশের বিচরণ যেখানে, পাখিদের অভয়ারণ্য সেখানে’ এ স্লোগানে পাখিদের বাসা গড়ার উদ্যোগ নেন পুলিশ কর্মকর্তা। জেলার ৫টি থানা, ১টি ফাঁড়ি ও ৩০টি ক্যাম্প এবং ৩৯টি স্থাপনায় পাখিদের অবাধ বিচরণের জন্য ৫ হাজার মাটির কলস ও বাঁশের খুপড়ি বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে বাস করতে পারবে হাজার হাজার পাখি।
জেলা ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, করোনাকালে মানুষ যখন গৃহবন্দি ছিলো, তখন তিনি প্রতিবেলায় পাখিদের খাবার ব্যবস্থা করে দিতেন এবং এখনো তিনি পাখিদের খাবার দিয়ে যাচ্ছেন । তবে এবার পাখিদের নিরাপদ বাসস্থান ও তাদের সংরক্ষনের জন্যে নিরাপদ স্থান গড়তে নিজ উদ্যোগে এ ধরনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
বাসা বেঁধে দেওয়ার কাজ শুরু করার এক পর্যায়ে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ সবসময়ই অনেক মানবিক তবে ক্ষেত্রবিশেষ তাদের কঠোর হতে হয়।
শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নয়, বিভিন্ন সামাজিক কাজেও পুলিশের অংশগ্রহণ করে আসছে বিভিন্ন সময়ে। সেই কাজের অংশ হিসেবে পশু-পাখিদের এ উদ্যোগ তবে সকলের সচেষ্ট সহযোগিতা ও সচেতনতা বাড়লেই আমরা সফল মনে করতে পাবো। পুলিশ শুধু এখন জনতার নয়, প্রাণীকূলেরও।
এসময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ফকরুল ইসলাম, শাহাব উদ্দীন ও মাহফুজ আহমেদ।
সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম