24 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ৩:২২ | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
খুলনায় ড্রাগন চাষের ব্যাপক সাফল্য, চাষে ঝুঁকছেন শিক্ষিত যুবকরা
কৃষি পরিবেশ

খুলনায় ড্রাগন চাষের ব্যাপক সাফল্য, চাষে ঝুঁকছেন শিক্ষিত যুবকরা

বাড়ির আঙিনায় চারদিকে সবুজের সমারোহ। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগন গাছ।সবুজ গাছে শোভা পাচ্ছে গোলাপি, লাল আর সবুজ ফল। স্বপ্নীল পরিপাটি এ বাগানটি গড়ে তুলেছেন র ফুলতলার আকরাম গাজী। নিজ ঘরের আঙিনায় বিদেশি ফলের চাষ করে সফলতা দেখিয়েছেন তিনি।

ফুলতলার গাড়াখোলা গ্রামের ড্রাগন ফলচাষি আকরাম। মাত্র ১৫ শতাংশ জমিতে ১০০ ড্রাগনের চারা লাগিয়ে তার যাত্রা শুরু। চার বছরের ব্যবধানে এবার তার ১৫ শতাংশ জমিতে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ফল ও লক্ষাধিক টাকার ড্রাগন চারা বিক্রি করছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফলপ্রেমী ও সৌখিন ড্রাগন চাষিদের জন্য তিনি ফল ও চারা সরবরাহ করছেন।

আর এই ড্রাগন চাষেই নিজে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি নিজের উপজেলায় ড্রাগন চাষের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে অনন্য অবদান রাখছেন আকরাম।

আকরাম বলেন, ১৯৮৩ সালে এসএসসি পাস করার পর আর লেখাপড়া করা হইনি। কম শিক্ষিত বলে সরকারি চাকরি হয়নি। জীবন-জীবিকার তাগিদে বেশ কয়েক বছর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হাড়ভাঙা খাটুনি অনুযায়ী পারিশ্রমিক কম থাকায় সেখানে নিজেকে খুব বেশি আবদ্ধ রাখতে পারেনি। পরে বাড়িতে এসে বাপ-দাদার পুরনো পেশা কৃষিকাজে মনোযোগ দেই। চার বছর আগে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরীক্ষামূলক ড্রাগন চাষ শুরু করি। ক্রমান্বয়ে লাভের মুখ দেখায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করি।

আকরাম জানান, তার ক্ষেতের এক একটি ড্রাগন ফল ৭/৮শ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের হয়। বাগান থেকে প্রতি কেজি ড্রাগন ৩শ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করেন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ তার বাগান থেকে ড্রাগন চারা কিনে নেন। গতবছর ফল ও চারা বিক্রি করে আড়াই লাখ টাকার বেশি আয় করেছেন। এবছর তারচেয়ে অনেক বেশি হবে।

বছরে কয়বার ফল পাওয়া যায় এমন প্রশ্নের জবাবে আকরাম বলেন, শীত মৌসুমে প্রায় চার মাস ছাড়া বছরের বাকি ৮ মাস ড্রাগনের ফলন অব্যাহত থাকে। ১৫ দিন পরপর ফল তোলা যায়।

সফল এ ড্রাগন চাষি জানান, খুলনা বিভাগে তিনি প্রথম ড্রাগন চাষ শুরু করেন। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই এ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ড্রাগন চাষের বদৌলতে তার একটি মাস্টার রোলে চাকরি হয়েছে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পে। মাসে এখন সব মিলিয়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারছেন।

তিনি আরও বলেন, আমার দেখাদেখি এলাকার শিক্ষিত যুবকরা ড্রাগনের বাগান করেছে। তাদের বাগানেও লাভ হচ্ছে। তারা চাকরির পিছে না দৌড়ে অনেকে আমার কাছে আসছে বাগান তৈরির পরামর্শের জন্য।

ফুলতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিনা খাতুন বলেন, অন্য ফসলের তুলনায় ড্রাগন চাষ লাভজনক। চারা লাগানোর এক বছরের মধ্যে ফল আসতে শুরু করে। আকরাম গাজীর বাগানে ১৪ মাসে ফল আসে। তিনি এখানে প্রথম এই ড্রাগন চাষ শুরু করেন। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই ড্রাগন চাষে ঝুঁকছেন।

কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, পুষ্টিগুণ, আকার-আকৃতি ও দামের কারণে বাজারে এই ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ক্যাকটাস জাতীয় গাছ হওয়ায় রোগ বালাইও কম। তাই চাষিরা সহজে এই ফল চাষ করতে পারে।

ফুলতলায় আকরাম গাজীর মতো নিজ উদ্যোগে এবং কৃষি বিভাগের সহায়তায় অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ শুরু করেছেন। সূত্র: বাংলানিউজ

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত