শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় হরিণকে খেয়ে ফেলেছে কুকুর। হরিণের হাড়গুলো মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে হরিণ চত্বরের ভেতরেই। রাজশাহী শহরে অবস্থিত শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানাটি সর্বমোট হরিণ ছিলো ৭৫টি। কুকুরে ৪টির হরিণ খেরে ফেলায় হরিণ সংখ্যা কমে এখন দাড়িয়েছে ৭১টিতে।
শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানাটির তত্বাবধানে রয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। বিষয়টির ব্যাপারে চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়কের কাছে লিখিত প্রতিবেদন চেয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সচিব।
চিড়িয়াখানার কর্মচারীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কুকুর গুলো ৪টি হরিণ খাওয়ার পরে আর বের হওয়ার কোনো পথ পায়নি। পরবর্তীতে সকালে কুকুরগুলোকে বের করা হয়। এদিতে এ চিড়িয়াখানায় গত তিন মাসে জন্ম নিয়েছে ১৫টি হরিণের বাচ্চা। ১৫টি বাচ্চা সহই খোনে মোট হরিণ ছিলো ৭৫টি কিন্তু এখন আছে ৭১টি।
ভেতরে কুকুরগুলো কিভাবে ঢুকেছে জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সচিব আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ জানায়, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানাান যে, হরিণ চত্বরের ভেতরে কিছু নির্মাণসামগ্রী আনার জন্য একটি পথ তৈরি করা হয়েছিলো। পরে সেই পথ বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে বোঁশগুলো হয়তো নষ্ট হয়ে গিয়েছে অথবা কুকুরগুলো ঢোকার জন্য চেষ্টার ফলে ফাঁক হয়ে গিয়েছে। আর সেই পথ দিয়ে ঢুকেছে কুকুরগুলো। সচিবের তথ্য অনুযায়ী চিড়িয়াখানার ভেতরে ৪-৫টি কুকুর আছে কুকুরগুলো মানুষের দেয়া খাবার খেছেই বেঁচে থাকে। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় কোনো দর্শনার্থী না থাকায় কুকুরগুলো খাবার ছাড়া রয়েছে অনেক দিন। আর হয়তো সে জন্যই হয়তো হরিণের বাচ্চাগুলোর উপরে আক্রমণ করেছে। বাচ্চাগুলো খাওয়ার সময় তাদের মা ছুটে আসলে তাকেও মেরেছে কুকুরগুলো।
কুকুরগুলোর ব্যাপারে তিনি বলেন, তাদের বের করে দেওয়া কঠিন কাজ। কারণ চিড়িয়াখানার জায়গাটি বেশ বড় । কিন্তু তবুও বের করে দেওয়ার চেষ্টাই করতে হবে। তিনি জানান যে, আদালতের নির্দেশের কারণে কুকুরগুলোকে মারা যাচ্ছে না। তবে তত্ত্বাবধায়ককে বলা হয়েছে একটি লিকিত প্রতিবেদন দিতে। প্রতিবেদন হাতে পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।