বিধিমালা ১৯৮৩ এর বিধি ১৯ (এ) লঙ্ঘন করে মাছ শিকার করায় ট্রলার মালিককে ১৫ হাজার এবং মাছ আহরণ করার দায়ে আরও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সাগর নদীতে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মাছ শিকারের দায়ে ১৫ জেলেকে আটক করে কুয়াকাটা নৌ পুলিশ। এসময় এম.ভি তিমন নামে একটি মাছ ধরা ট্রলারও জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আন্ধারমানিক নদীর মোহনা সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় জেলেদের। আর সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা করা হয় মালিককে। জানা গেছে ট্রলার মালিক ও জেলেদের বাড়ি রাঙ্গাবালীর কোড়ালিয়া এলাকায়।
কুয়াকাটা নৌ পুলিশের অভিযানে সে সময় ট্রলার থেকে ১২০ কেজি জাটকা ইলিশ ও বেশ কিছু জাল জব্দ করে কুয়াকাটা নৌ পুলিশ। একই সাথে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ট্রলারের মালিক কাওছার মৃধাকে ১০ হাজার টাকা এবং মাছ আহরণ করার দায়ে আরও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ট্রলারটিকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত মালিকের ঘাটে জব্দ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেময় ১৫ জেলের কাছ থেকে মুচলেখা রেখে তাদের ছেড়ে দেয় কুয়াকাটা নৌ পুলিশ।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা জানান, বিধিমালা ১৯৮৩ এর বিধি ১৯ (এ) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে মাছ শিকার করায় ট্রলারের মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। নদী ও সাগর মোহনায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সামুদ্রিক মৎস্য অবরোধ সফল করতে মৎস্য অফিস, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের নিয়মিত টহল অভিযান অব্যাহত থাকবে।