করোনার মধ্যেই বাংলাদেশের হানা দিতে পারে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল। ইতিমধ্যে একদল পঙ্গপাল ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় ঢুকে পড়েছে। আর অন্য আরেকটি দল ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে ভারত উপদ্বীপের কৃষিজমিতে নেমে পড়তে পারে। আর এরপরই তারা ছুটবে বাংলাদেশের দিকে। ভারতের হিন্দ পত্রিকাটির প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গ্রীষ্মের মধ্যেই বিশাল বাহিনীর পঙ্গপাল ভারতের কৃষি জমিগুলোতে হামলে পড়তে পারে। এতে দেশটির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হুমকির মুখে পড়তে পারে। ফলে দেশটিকে এখন দু ফ্রন্টে যুদ্ধ করতে হবে- ১. করোনাভাইরাস এর বিরুদ্ধে, ২.পঙ্গপাল প্রতিরোধ করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে।
এর আগে, এই বিশাল বাহিনীর পঙ্গপাল ইয়েমেন, বাহরাইন, কুয়েত, কাতার, ইরান, সৌদি আরব এবং পাকিস্তানে তান্ডব চালিয়েছে। এবার ভারতে হানা দিয়েছে। জানা যায়, হর্ন অব আফ্রিকা থেকে একদল পঙ্গপাল গতিপথে মরু অঞ্চলের আরেকদলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একসাথে হানা দিচ্ছে। গত ২১ এপ্রিল জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে যে, মরুর পঙ্গপাল যারা এ বসন্তে পূর্ব আফ্রিকা, ইয়েমেন ও দক্ষিণ ইরানে হানা দিয়েছে তারা আফ্রো-এশীয় অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
দেশের কৃষি অধিদপ্তর আশঙ্কা করছেন যে, বাংলাদেশেও আক্রমণ হতে পারে পঙ্গপালের। কেননা, এদের বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে বাতাসের উষ্ণতার গতি অনুযায়ী চলাফেরা করা এবং এক স্থানের খাবার ফুরালে অন্য স্থানে খোঁজ করা। সে অনুযায়ী বাংলাদেশেও হানা দিতে পারে ভয়ঙ্কর এই পঙ্গপাল।
এফএও বলছে, এক বর্গকিলোমিটার আকারের পঙ্গপাল এক সঙ্গে যে খাবার খায় তা দিয়ে ৩৫ হাজার মানুষকে এক বছর খাওয়ানো সম্ভব। একটি বড় পঙ্গপাল দিনে ১২০ মাইল পর্যন্ত জমির ফসল খেয়ে ফেলতে পারে এবং এরা একই সঙ্গে প্রজননের কাজটিও করে থাকে।