সভ্যতার শুরু থেকেই বিভিন্নভাবে প্রাণীবৈচিত্র্যের ধ্বংস হয়ে আসছে। ফলে দিন দিন কমে যাচ্ছে প্রাণীর সংখ্যা। প্রাকৃতি পরিবেশে থাকা অনেক প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে আসছে মানুষ।
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে চীনের কথা। চীন প্রতিবছর অনেক পরিমাণ বন্য প্রাণী খেয়ে থাকে। আবার জাপানে খাওয়া হয় তিমির মাংস। জাপানে তিমির মাংস খাওয়া প্রতিবছর অনেক পরিমাণ তিমি মারা যায়।
কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে জাপানে এখন তিমি মাছ শিখার বন্ধ রয়েছে। যার ফলে বেঁচে যাচ্ছে কয়েক হাজার তিমি মাছের প্রাণ।
করোনোভাইরাস মহামারীর কারণে জাপানে তিমি শিকার বন্ধ থাকয় রেকর্ড পরিমাণ কমে গেছে মাংস খাওয়া। প্রাণ বেঁচেছে অনেক তিমির। জাপানে এসময় তিমি মাছের মাংসের প্রক্রিয়াজাত করণের দেখা দিয়েছে ব্যাপক সমস্যা । সবমিলিয়ে করোনা যেন তিমির জন্য এক শুভ সময়।
জানা যাচ্ছে আইসল্যান্ডের দু’টি সংস্থার মধ্যে একটি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে তিমি মাছের শিকার। সরকারি নিষেধাজ্ঞার থাকায় অনেক দূরে গিয়ে শিকার করতে হয় তিমি। যার ফলে জাপান নিজস্ব তিমি শিকারিদের ভর্তুকি দিতে শুরু করেছে।
এর আগে বেশ কিছু বছর তিমি শিকার বন্ধ ছিল আইসল্যান্ডে। কিন্তু ২০০৩ সাল থেকে আাবরো ‘বাণিজ্যিক স্বার্থ’ দেখিয়ে তিমি শিকার শুরু করে আইসল্যান্ড। তথ্যানুযায়ী ‘মিনকি’ এবং লুপ্তপ্রায় ‘ফিন’ প্রজাতির তিমি মাছ শিকার করা হয় আইসল্যান্ডের উপকূলে। আইসল্যান্ড, নরওয়ে এবং ২০১৮ সাল থেকে জাপানে বাণিজ্যিক স্বার্থে তিমি শিকার হয়।
বাণিজ্যিক স্বার্থে তিমি শিকারের ফলে কমে যেতে থাকে তিমির সংখ্যা। বর্তমানে তিমির অনেক প্রজাতি এখন বিলুপ্তপ্রায়। অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ আর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই স্তন্যপায়ী প্রাণীর আজ অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে।
তার উপরে আবার শিকার। তবে আশার কথা হচ্ছে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে আপতত একদমই কমেছে গেছে তিমি মাছের শিকার।