মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের প্রতাপী এলাকায় ভাঙনকবলিত ২ কিলোমিটার বিকল্প বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ফসলের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে এলাকাবাসী। তবে বাঁধের জন্য জমি ও বাড়িঘর ছেড়ে দেয়া পরিবারগুলো পড়েছে বিপাকে। সরকারের কাছে পুনর্বাসনের দাবি করছেন এসব ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ণ বোর্ড পাউবো জানায়, রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট বাজার সংলগ্ন সেতু থেকে প্রতাপী গ্রামে ধলাই নদের ডান তীরের ২ কিলোমিটার বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ প্রায় এক যুগ আগে ভেঙে যায়। এরপর থেকে প্রতিবছর নদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলেই ভাঙনস্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতো। রাস্তাঘাট বাড়িঘর তলিয়ে যেতো। নষ্ট হতো প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির ফসল। অস্থায়ী ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ মেরামত করা হলেও ক্রমান্বয় ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছিলো না। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৮৯.৯১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে বিকল্প বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ করা হয়েছে। বাঁধটি নির্মাণ করার ফলে কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ও পতনঊষার ইউনিয়ন এবং বাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের কয়েক লক্ষ মানুষের ভোগান্তি কমবে। বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকার ফসল রক্ষা পাবে।
স্থানীয়রা জানান, পুরনো বাঁধটি ক্রমান্বয়ে ভাঙতে ভাঙতে জায়গাটি প্রায় উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছিলো। প্রতিবছর বন্যা হতো এবং ফসল নষ্ঠ হতো। বাঁধ নির্মাণ হওয়ায় এখন তারা অনেকটা নিশ্চিন্ত।
রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল জানান, ক্ষতিগ্রস্থ ভূমিহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য সরকারি জমি খোঁজা হচ্ছে। জমি পেলে তাদের সরকারি খরচে ঘর করে দেয়া হবে।
পানি উন্নয়ণ বোর্ড (পাউবো) মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, ধলাই নদের প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিধান নেই। সেটি থাকলে অবশ্যই সেটা করা হতো। ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনে আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করেছি।