31 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
সন্ধ্যা ৬:৪৫ | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
পরিবেশ দূষণ

ওয়ান টাইম কাপে ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ

করোনাভাইরাসের অজুহাতে যশোরের অভয়নগরে ‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিক চায়ের কাপ ব্যবহার অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলাব্যাপী। যেখানে-সেখানে পড়ে থাকা অপচনশীল এসব কাপের জন্য বেড়েছে জলাবদ্ধতা। ঝুঁকি বেড়েছে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের। প্লাস্টিকের এ কাপের ব্যবহার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন পরিবেশবাদীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভয়নগর উপজেলাজুড়ে ছোট-বড় প্রায় আট হাজার চায়ের দোকান আছে। এসব দোকানে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ কাপ চা বিক্রি হয়। যার ৮০ শতাংশ চা প্লাস্টিকের ‘ওয়ান টাইম’ কাপে দেওয়া হয়। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে কথা হয় চায়ের দোকানি আব্দুর রহমান, আকবর আলী, কলিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে । তাদের অভিযোগ, ক্রেতার চাহিদা ও স্থানীয় পুলিশের চাপে এ কাপে চা দিতে বাধ্য হন তারা। ব্যবহারের পর ওই কাপ যেখানে-সেখানে ফেলার বিষয় জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান।

নওয়াপাড়া বাজারের প্লাস্টিক ব্যবসায়ী মঙ্গল কুমার জানান, প্রায় ২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিক সামগ্রী বিক্রি করে। প্রতিদিন প্রায় এক লাখ ‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিকের চায়ের কাপ বিক্রি হয়। প্রকারভেদে প্রতি পিস ৭০ পয়সা থেকে এক টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করা হয়।

পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার সদস্য কামরুল হাসান জানান, প্লাস্টিক মানবদেহের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। অবিলম্বে এসব অপচনশীল প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

প্লাস্টিকের তৈরি অপচনশীল পণ্যের ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম মাহামুদুর রহমান রিজভী কালের কণ্ঠকে বলেন, প্লাস্টিক জাতীয় কাপে চা বা গরম পানি পান করলে হার্ট, কিডনি, লিভারসহ ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এসব পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয় পলিমার নামক ক্ষতিকর কেমিক্যাল। যা মানবদেহে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং পরিবেশের জন্য ভয়াবহ হুমকি হিসেবে দেখা দেয়। অপচনশীল প্লাস্টিকের জন্ম হয় কিন্তু মৃত্যু হয় না। প্লাস্টিকের পরিবর্তে মাটির অথবা কাচের তৈরি পণ্য ব্যবহার করা উত্তম।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, পলি ইথায়লিন ও পলি প্রপাইলিন বা এর কোনো যৌগ মিশ্রণে তৈরি প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করা বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (৬) এর ‘ক’ ধারা লঙ্ঘন। এসব পণ্য বিক্রি ও ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে দুই বছরের জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যেতে পারে। প্লাস্টিক ব্যবহাররোধে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সূত্র: কালের কন্ঠ

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত