আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলেক্ষ অবমুক্ত করা হবে উদ্ধারকৃত সেই ২৯টি অতিথি পাখিদের। শীত চলে গেলেও উড়ে যেতে পারেনি তারা।পাখি শিকারিরা তাদের ডানাগুলো কেটে দেওয়া এমন অবস্থা হয়েছে চখাচখি নামের অতিথি পাখিদের ।
শীতের শুরুতে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে আসে তারা। কিন্তু শিকারারিদের শিকার হওয়ার কারনে নিজ প্রজননভূমিতে এবার ফিরে যেতে পারছে না এই চখাচখি পাখি। ডানাকাটা এই উদ্ধারকৃত অতিথি পাখিদের এতোদিন রাখা হয়েছিলো বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পুনর্বাসন কেন্দ্রে। আর এদের ডানা কাটা অবস্থায় উদ্ধার করেছিলো রাজশাহীর বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সেই অতিথি পাখিদের নওগাঁর ধামইরহাটের শতবর্ষী আলতাদিঘিতে অবমুক্ত করা হবে। বিশাল এই দিঘিতে তাদের চলাচল ও খাবারের কোন সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন রাজশাহী বন বিভাগেরফরেস্টার আশরাফুল ইসলাম ।
ধারণাকরা হচ্ছে ১৪০০ বছর আগে এখানকার রাজা জগদল ৪২ দশমিক ৮১ একরের দিঘিটি খনন করেন। এটি আলতাদিঘি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে শালবনঘেরা একটি অপরূপ জলাশয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ জানুয়ারি ২০১৯ সালে এই অতিথি পাখিদের রাজশাহীর পবা উপজেলারগহমাবোনা পদ্মার পাড়েদুটি বস্তার ভেতর থেকে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহীর বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। উদ্ধার করার পরে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়।