এসকেএফের উৎপাদন করা রেমডেসিভিরের বাণিজ্যিক নাম ‘রেমিভির’
বিশ্ব এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। করোনাভাইরাসের ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরির জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছে প্রতিটা দেশ। কিন্তু এখনো তৈরি করা সম্ভব হয়নি এই মারাক্তক ভাইরাসে। ভাইরাসটিকে এরই মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে বিশ্ব মহামারী হিসেবে।
তবে রেমডেসিভির স্বাভাবিকভাবে প্রাথমিক পরীক্ষায় উৎসাহব্যঞ্জক ফল পাওয়ায় ইতমদ্যে প্রস্তুত করা শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশও তার মধ্যে একটি। বাংলাদেশ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ রেমডেসিভির উৎপাদন সম্পন্ন করেছে।
আর সেটি উৎপাদন সম্পন্ন করেছে দেশের খ্যাতনামা ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। উৎপাদনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরে গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে সরবরাহ করার প্রস্তুতি।
এসকেএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন হোসেন জানিয়েছেন, এরইমধ্যে করোনার একমাত্র কার্যকর ওষুধ বলে স্বীকৃত জেনেরিক রেমডেসিভির উৎপাদনের সব ধাপ শেষ করেছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে শেষে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর জানা যায়। প্রথমে চীনের কয়েকটি প্রদেশে, তারপর চীনের প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং পরবর্তীতে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথমে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। পরে পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা দেয়। করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় ৩৯ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ২ লাখ ৭০ হাজার।
স্বাভাবিকভাবে প্রাথমিক পরীক্ষায় উৎসাহব্যঞ্জক ফল পাওয়ায় করোনা রোগীদের চিকিৎসায় মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি এই ওষুধ সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) গত সপ্তাহে করোনার ওষুধ হিসেবে রেমডেসিভিরকে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এছাড়াও জাপানের ওষুধ প্রশাসন ৭ মে থেকে ওষুধটি করোনা রোগীদের ওপর প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে।
বিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে ঠিক এই অবস্থায় এসকেএফ-ই বিশ্বে প্রথম ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, যারা জেনেরিক (মূল বা গোত্র) রেমডেসিভির উৎপাদন করতে সক্ষম হলো। আর এসকেএফের উৎপাদন করা রেমডেসিভিরের বাণিজ্যিক নাম ‘রেমিভির’।
এসকেএফ জানিয়েছে, বিধি অনুযায়ী রেমডিসিভির নমুনা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অধীনস্থ ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবোরেটরিতে জমা দেওয়া হবে এবং ছাড়পত্র ও বাজারজাতের অনুমতি পাওয়ার পর কিছু দিনের মধ্যেই ওষুধটি বিতরণ শুরু করবে এসকেএফ।