শুধু গ্রহদের নয়, চাঁদ থাকে গ্রহাণুরও; এমনি একটি তথ্য জানিয়েছে নাসা। গ্রহাণু ‘ইউরিবেটস’-এর একটি চাঁদ রয়েছে । যে গ্রহাণুটির সাকিন মঙ্গল আর বৃহস্পতির মাঝামাঝি থাকা ‘অ্যাস্টারয়েড বেল্ট’ বা গ্রহাণুপুঞ্জে।২০১৮-র সেপ্টেম্বর, ২০১৯-এর ডিসেম্বর এবং এই মাসে হাব্ল স্পেস টেলিস্কোপের ওয়াইড ফিল্ড ক্যামেরা-৩-এর পাঠানো ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে নাসার ‘লুসি মিশন’ জানায়, যা মনে হয়েছিল ঠিক তাই, একটি চাঁদ রয়েছে ইউরিবেটস-এর।
জানা যায়, সাত বছর পর এই প্রথম গ্রহাণুপুঞ্জের মুলুকে পৌঁছাবে কোনো মহাকাশযান। নাসার মহাকাশযান লুসি যাবে আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আরও ৬টি গ্রহাণুতেও। ইউরিবেটসের মুলুকে ‘লুসি’ রওনা হবে ২০২১ সালের অক্টোবরে।
গ্রহাণু সম্পর্কে নাসার লুসি মিশনের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর, সাউথওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক জ্যোতির্বিজ্ঞানী হ্যাল লেভিসন জানান, ‘‘এই সদ্য আবিষ্কৃত চাঁদটির ঔজ্জ্বল্য গ্রহাণু ইউরিবেটসের ৬ হাজার ভাগ। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে আকারে খুবই ছোট সেই চাঁদ। তার ব্যাস হতে পারে বড়জোর ১ কিলোমিটার। আর তা যদি হয়, তা হলে বলতে হবে এখনও পর্যন্ত যে সব গ্রহাণুতে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি, ইউরিবেটস তাদের মধ্যে ক্ষুদ্রতম।’’
২০১৮ সালে নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপই প্রথম হদিশ পায় ইউরিবেটসের। কিন্তু তার যে একটি চাঁদও রয়েছে, তা ভাবতেও পারেননি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। হাবল টেলিস্কোপের পাঠানো তথ্যাদি খতিয়ে দেখে গত নভেম্বরেই প্রথম বিজ্ঞানীদের সন্দেহ জাগে এই ব্যাপারে।আর সেই সন্দেহই সত্যি হল নাসার লুসি মিশনের মাধ্যমে।